তোমার সাথে দেখা
হয়েছিল আমার রামকৃষ্ণ মন্দিরে
রাজধানীর বুকে আর কে মিশন রোডে
এত সুন্দর মন্দির, আগে কখনো দেখিনি!
এবারও দিন,মাস-বছর শেষে এসেছে পুজোর সময়।
এবার মন্দির নয়,গির্জা নয়
অপেক্ষা শুধু তোমার!
তুমি এলেই, আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠবো
তোমাকে নিয়েই মায়ের পায়ে প্রণাম করব।
তুমি তো আসবে না!
কেন আসবে না!
আমি খুব ভালো করে জানি;
তুমি জানো কি?
তোমার অপেক্ষায় নিদারুণ-
নিষ্ঠুরতায় পুড়েছে আমার শ্বাস-প্রশ্বাস
তবু যেন অপেক্ষা ছিল অম্লমধুর।
আাহ্! এই বুঝি এলে নিঃশব্দে
আমার হাত ধরে হেঁটে গেলে মন্দিরে।
যেন মায়ের কল্যাণে দেখা হয়েছে বহুবার
যেন সিদ্ধেশ্বরীতে ডাকেশ্বরী মন্দিরে-
উন্মাদ ভাবনা তোমার আমার।
তোমার অদম্য উম্মাদনার মাঝে কি সুখ
বারবার চাহিয়ে দেখি তোমার প্রিয় মুখ।
কি করে এত নিখুঁত সৌন্দর্যের
অধিকারী হতে পারো তুমি?
কি করে?
একটি বারও তো দেখা দাওনি কাছ থেকে।
বলেছ,পিতলের প্লেটে খেতে বসলে তুমি
আমাকে দেখো।
তাই বলে এতটা স্পষ্ট?
তখনই অবাক হই!
যখন তোমার মুখ থেকে শুনতে পাই
আমার শরীরে কয়টি তিল আছে-
তা তুমি নির্দ্বিধায় বলে দিতে পারো।
দুধে আলতা গায়ের রঙটাও বেশ চেনা
চোখ বুজলেই বলতে পারো
কি রঙের শাড়ি পড়েছি !
সময়,অসময়ে খোঁজ রাখা
মন্দিরে ঘন্টা শব্দ পড়লেই ছুটে চলা
একি শুধুই আমার ভাবনা?
তোমায় নিয়ে আমার সকল ভাবনা
উলটপালট করে দিয়েছে এক মুহূর্তেই।
তুমিই গড়েছ, তুমিই ভেঙেছ সব রীতি-নীতি
এই চিত্তের যত অনিবার্য পরিণতি।
আমি কোন মন্দিরে যাইনি আর একবারও
খুঁজিনি কখনো তোমায়,
আজন্ম করে চলেছি তোমার পূজা
আমার বিবেকের কাঠগড়ায়
প্রণাম তোমায়,প্রণাম তোমায়।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ভাবছি
কিভাবে করবো তোমার আরাধনা?
হয়তো তুমি আমার ভাবনা থেকে মুক্ত হও
না হয় আমাকে চিরতরে মুক্তি দাও!
আমি মুক্তি চাই,আমি মুক্তি চাই,আমি মুক্তি চাই
বিরহ যন্ত্রণার শিকল ছিড়ে আমি মুক্তি চাই
তোমার সকল প্রোটকল থেকে আমি মুক্তি চাই
মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, মুক্তি চাই….!
প্রণাম তোমায়-মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ