ঊষা তরুণীর ঐশিক নাম পাখি
ইচ্ছে করে ঈশ্বর ছুঁয়ে আসে
আঁধার কেটে মেলে দেয় দুই ডানা
আকাশটাকে বুকে নিয়ে তার ভাসে।

উড়ছে পাখি অবিরত মেঘ ডানা
নিখাদ ভোরে দেবতালয়েই যাবে
কুসুমকলি যেমন আলোয় ফোটে
সেই আলোটি মনের ভেতর পাবে।

ঠোঁটের কোণে ইন্দুলোহক রেখা
বইছে যেন গহন শান্ত নদী
পানসি চেপে চলেছেন নিশিরাজ
ঐশী পাখির জ্যোৎস্না ভরা হৃদি।

কোথাও বুঝি একটি কল্পতারা
আকাশ থেকে গড়িয়ে আসবে ঠিক
ওই তারাটি নিজের আলোয় জ্বলে
পালকে গন্ধ অচিন ঐশ্বরিক।

মনের গ্রন্থি খোলা আছে তার সব
আতর ভাসে বাতাসের হাত ধরে
ঝিকিয়ে নামা কমলমোহন রোদ
হৃষিত পাখি গেয়ে যায় নিজ সুরে।

পাখির গানে সবুজ নবীন ধান
ছন্দে দুলে কবিতার ডালপালা
প্রাণদ সুধা পাচ্ছে জীবনকুল
ইচ্ছে পাখি ঘোচাবে সকল জ্বালা।

তরুণ চোখে বাঁচবার অভিরতি
দুষিত বায়ু আবিল দুইটি মণি
কুহেলি খোঁজে গরল জ্বালায় চোখ
অচল হবে কলকারখানা খনি।

শোষণ করে গুল্ম ও গাছপালা
গড়ছে নগর লোহা পাথর ইট
মানুষগুলো দেবতা বসায় ঘরে
বাসা হারিয়ে মরছে বিহগ কীট।

পাখির ইচ্ছে মানুষের হবে ডানা
গাছের ডালে বাঁধবে মানুষ বাসা
ডানাগুলোর ইন্দ্রধনুষ রঙ
কাকলী হবে চরাচরের ভাষা।

পাখির সাধ একশ’ জীবন বাঁচা
এক জীবনে হাজার বছর হবে
ইচ্ছে যদি তবেই পূরণ হয়
তবেই পাখি ঈশ্বর ছুঁতে পাবে।
__________________________________

কাব্যগ্রন্থঃ পাখি নামের মেয়েটি
প্রকাশ ঃ মে, ২০০৪,
নবজন্ম প্রকাশন, শিলিগুড়ি