শহরে আমি একলা নয়তো তরুণ
কবি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঘুরি
চিবিয়ে খাচ্ছি ইতিহাস পাতা ছিঁড়ে
কেমন কবিতা লিখেছেন পূর্বসূরি।
বিছানা ভেঙে মধ্যরাত্রে ভাবি
ওই কবিদের কেমন ছিল মন
কৃষ্ণচূড়া কিংবা বকুলতলা
নাগরী কোথায় পেয়েছিল যৌবন।
সকাল-সূর্য আগুনের মত রূপ
পাপড়িগুলো আগুন তাপেই খোলে
দগ্ধ কবির রাত্রি কাটলো কোথায়
মাথা কি ছিল প্রণয়িনীর কোলে।
কোন ঘাটে কবি করেন নৌকাবিলাস
অনুরাগে তিনি ভাসেন কতটা দূর
অধরে কার গানের কলি ফোটে
কতটা গভীর হয়েছিল সে সুর।
ভাবনা নয়তো নিছক অর্থহীন
কেমন করে কাটলো যুববেলা
সকল কবির একই রকম গুন
জীবন জুড়ে চলছে ফাগুল-খেলা।
কবি যখন ধানের ক্ষেতে যান
হাওয়ায় দোলে যখন ধানের শীষ
গ্রামীণ মেয়ের আঁচল উড়ে যায়
ভাঁজে ভাঁজে তার উদ্গারিত বিষ।
উপচে পড়ছে গরল কাগজ গায়ে
অমর হয়েই কাগজ তবুও থাকে
এখন যাদের চিবিয়ে খাচ্ছি আমি
অমরত্ব তারাই দিয়ে যাবে।
আমি যাদের নামের পেছনে ঘুরি
আলোকিত যার চির যুব-তারা
স্বর্ণহরিণ খুঁজছে যাদের বাণ
সেই নদীরই নবীন উপধারা।
আমার জলে উচ্ছ্বাস আছে কত
শীতলের তলে কতটা আছে জ্বালা
পূর্বসূরি আলোকিত করা পথ
জমিয়ে রাখছি তরুণ শব্দমালা।
__________________________________
কাব্যগ্রন্থঃ পাখি নামের মেয়েটি
প্রকাশ ঃ মে, ২০০৪,
নবজন্ম প্রকাশন, শিলিগুড়ি