তোমাকে কখনো আর এইভাবে
লুকিয়ে লুকিয়ে আসতে হবে না
                আর কোনোদিন শব্দহীন
পদচিহ্ন মুছে ফেলা নয়
ফিস্‌ফিস্‌ কোনো কথা নেই
কোনোদিন ঘোমটা টানতে হবে না।

অনেক রাত্রি জেগে জেগে
ভেবে ভেবে দশদিক্‌
            একটা সঠিক উপায় পেয়েছি,
পন্থাটা কষ্টদায়ক  
              তা হোক
তোমার দুর্গটা ভাঙবে না।

আমার রুক্ষ চুল গালভরা দাড়ি
মলিন বেশ আর মদ্যপানে
               নুয়ে পড়া মাথা
নিঃশেষিত কলম আর শতছিন্ন খাতা
                         নিভৃতে ছিল,
তছনছ কালবৈশাখী
          কীভাবেই বা লুকিয়ে রাখি
বান ডেকে দুই পাড়
            ভাসিয়ে দিল নদী
আমরাও যদি ওই গাছের মতন
           দাঁড়িয়ে থাকতাম চির বোবা
আমরাও যদি ভালবাসা পাঠিয়ে দিতাম
             পাখি-খাম ভরে...

আমরাও যদি কথা বলতাম
পাতা নেড়ে ঈশারায়  তাহলে বোধহয়
একজন্ম বদনাম শহর ছড়িয়ে যেত না।
দুঃসাহসিক ধূলি ঝড়ে আমাদের
মাটির তলার মেলামেশা
                  শিকড়ে শিকড়ে-
আরও গাঢ়, আমরা দু-জন পাশাপাশি
কাব্যের মত বিছানো ফুল ফলে
পাশাপাশি
পড়ে থাকতাম নিশ্চুপ।

একশো ঢাকের গর্জনে
দাপিয়ে বেড়ানো বৈশাখী
লিখতে হতনা আত্মহননের ইতিকথা
রাত্রিটা পার হলে
      দরজা জানালা খুলে ফেলে
তুমি বাতাসে বাড়িয়ে দিও দুই বাহু
       আর গত জন্মের যাবতীয় কথকতা
দেখবে ঝড় থেমে গেছে।