কষ্ট করে তুমি আমাকে খুঁজতে যেও না আর ওই পথের পাশ।
সেই ঠিকানায় এখন আমার আর নেই বসবাস।
তোরণে হয়তো ঝুলছে এখন মরিচা পড়া কোনো পুরোনো তালা।
নিদারুণ সময় কালবৈশাখী ঝড় হয়ে
আমায় উড়িয়ে নিয়ে গেছে সেই কবে সেখান থেকে বহু দূরে
ছিঁড়ে নিয়ে গেছে চালা।
জানো,আমি আজও আছি বেঁচে।
আছি অন্য সাম্রাজ্যে,অচেনা লোকালয়ে
বলতে পারো অন্য এক পৃথিবীতে অনেকটা নিজেকে আড়ালে রেখে ।
রেখেছি ঢেকে অসুন্দর যত দামি দামি পাথরে আর ইটে।
এখানে কেউ খুঁজে না আঁচড়ের চিহ্ন খসে পড়া দেয়ালের পিঠে।
মেকআপ করা অবয়বের পিছে খুঁজে না কেউ বেদনার ক্যানভাস।
ঝক্মকে আলোর ঝলকানিতে লাগে সবই নিখুঁত নিদাগ।
পুরোনো সে পথে আমার আর হয় না যাওয়া আসা।
ও পথে নেই অবশিষ্ট আর কোনো ভালোবাসা।
তুমি গেলে সেখানে পাবে হয়তো স্মৃতির খড়কুটো,
ভাঙা স্বপনের ছড়ানো ছিটানো খুদি কয়েক টুকরো।
হয়তো পাবে ক্ষরিত বিবর্ণ রক্তে পুষ্ট কতক গোলাপের পাপড়ি।
ছিঁড়ে ফেলা পত্রের ভাঁজে প্রতিজ্ঞার দীর্ঘশ্বাস আর আহাজারি
ওই বাতাসে পোড়া মনের নির্যাস।
এছাড়া কিছুই পাবে না সেই পথে
কারণ, আমার কোনো অস্তিত্ব আর নেই ওই জনপদে।