দরোজা খুলে এগিয়ে দিতে এসে
সিঁড়ির রেলিংয়ে ঝুঁকে দাঁড়ালে
কপালে অগোছালো চুল
নির্বাক চোখ – বললাম,
হয়তো হবেনা দেখা আর
তুমি বললে – সেই ভাল, সেই তো ভাল
বাইরে তখন সন্ধ্যা নেমে গেছে
জানালার কার্নিশে সর্পিল ছোঁয়া
গাছে গাছে পাতারা নিথর
নিমগ্ন সব যেন কোন এক অজানা সংগীতে
বুকের ভিতর সহসাই সীমাহীন এক হিমেল প্রান্তর
জেগে ওঠে হিম হিম শুভ্রতা নিয়ে
কেবলি হাওয়ার দাপাদাপি-উতল উতল
আকাশটা মনে হলো বড় বেশী দূর
পারিনা দুহাতে ছুঁতে আর –
বলেছো তুমি – সেই ভাল, সেই তো ভাল
কি ছিল তোমার চোখে ঠোটে বুকে
তাকিয়েছিলাম-বুঝিনি
অবশ্য বোঝার কোন চেষ্টাই ছিল না হয়তো,
সেই থেকে আমি আমার স্বপ্নের ভিতর
আরও বেশী হেঁটে যাই-হেঁটে হেঁটে যাই
হেঁটে হেঁটে আনমনে যাই
আনমনে হেঁটে হেঁটে যাই
আর ভাবি
কম্পিত হৃদয়ে ভাবি
তৃষিত অন্তরে ভাবি, ভাবি-
মনে পড়ে মনে পড়ে বারবার
সিঁড়িতে তোমার মুখ
কপালে অগোছালো চুল
বললে তুমি – সেই ভাল, সেই তো ভাল
এরচেয়ে ভিন্ন কিছু
ভিন্নরকম কোন কষ্ট চাইনা বুঝতে আমি
আর কোন সত্যের মুখোমুখি হতে নাই এতটুকু স্বাদ
হোক ভ্রান্ত তবুও স্বপ্নের সাথে আমার অনন্ত বসবাস
_________________________________
কামাল
ঢাকা, ০৫ আগস্ট ১৯৯৪