হে আঠেরো বছর বয়সী তরুন-তরুনীরা
তোমরা তো পদাঘাতে চাও ভাঙ্গতে পথের বাধা
তবে স্তব্দ কেনো?
পথে প্রান্তরে হারিয়ে যাও আস্ফালনের নিনাদে
ভালোবাসা যেন ভিখারী সাজে সভ্যতার সংকটে
রক্তোজ্বল পরিবেশে তোমরা কি হারিয়েছো মর্যদা?
স্নিগ্ধ মনোভাব কি চলে গেছে অস্তাচলে?
যা কখনো উদীয়মান সূর্যের ছটায় ফিরে আসবে না।
হে আঠেরো বছর বয়সী তরুন-তরুনীরা
তোমরা তো জানোনা কাঁদা
তবে কেন বর্তমানে তোমাদের কন্দন থেমে থাকে না।
তোমাদের বীর দর্প আজ কোথার?সে কি গেছে পাপ পঙ্কিলতার শেষ ধাপে?
না কি কামপ্রবনতার শিকার হয়ে বিসর্জন দিয়েছ গঙ্গাবক্ষ জলে?
হে আঠেরো বছর বয়সী তরুন-তরুনীরা
সভ্য পৃথিবী অসভ্য শয়তান ঘোরে তোমাদের চারপাশে।
কি করে শিখবে ও শেখাবে বঙ্গবাসীর জনগনকে?
শিয়রে যে রক্ত রয়েছে তাও তো দূষিত,
এমত পরিবেশে বিশ্ববাসী কি করে হবে মুক্ত?
হে আঠেরো বছর বয়সী তরুন-তরুনীরা
তোমাদের চোখে বৈপ্লব কবি প্রত্যক্ষ করে উদ্দাম প্রতিভা
দেখেছিলো এক নতুন সৃষ্টির প্রেরণা
হায়!তার প্রত্যক্ষ করা দৃষ্টি নদীর মতো শুকিয়ে যায়।