খাঁচার ফোকর গলে আপনা হতেই,
টুপ করে পড়ল ঝরে ; এক চিলতে রোদ্দুর।
কি নিষ্পাপ আদুরে তাঁর স্পর্শ।
কি কোমল তাঁর ছন্দ তোমার অঙ্গে!
কে বলবে, যে চোখের কোল ছিল ভেজা,
যে ঠোঁটের কিনারায় ছিল অজানা কম্পন,
কি অতিসহজেই-
পরম মমতায়, তোমাকে ছুঁয়েছিল রশ্মিকণা।
কি লাবণ্য তোমার রুপে;
কি স্নিগ্ধতা!
খাঁচার পাখিদেরও বুঝি এত সৌন্দর্য থাকে?
তুমি অভিমানী! তুমি রাগ করো আষাঢ়ের মত।
আনমনা এক অভাগী বিদ্যুল্লতা।
জানো, দারিদ্র্যের কোনো ঐতিহ্য হয় না।
থাকে না কোনো মূল্য। শুধু আছে অবহেলা!
কত কারণেই না তুমি অসুখী,
কত কারণেই না তুমি ব্রাত্য।
জানো, সৌন্দর্য আর যৌবনকে নিংড়ে নেয় সমাজ।
ক্রমশ আখের রসের মত পেষাই চলে,
ছিবড়ে করে ফেলে দেয়।
অবশিষ্টের আস্তাকুড়েতে সংসার পাতে মানুষ।
অশ্রু মুছতে বলে সবাই।
সময় বলে, অশ্রু গিলতে শেখো।
ভুলতে শেখো নারী!
ভুলতে শেখো।।