আচ্ছা, দুটো চাবির প্রেম নিয়ে
এতো যে হইচই করছিস;
সোনার তালায়, রুপার চাবি খাপ খেয়ে গেল বলে
রাগে গজ-গজ করছিস;
একটু ভেবে বলতো,- ঠিক এমন ভাবে
কখনো মৃত্তিকার ঘ্রাণ নিয়েছিস?
বর্ষার আগমনে, প্রথম বারী কণার স্পর্শে-
যে সোদা গন্ধ ভেসে আসে;
কখনো সেই গন্ধ
অনুভব করে দেখেছিস?
যদি অনুভব করতিস তাহলে বাপু
এত অল্পেই চিত্কার-চ্যাঁচামেচি শুরু করতে পারতিসনা।
চাবির প্রেম কার প্রতি তীব্র হবে
সেটাও কি তোরাই ঠিক করে দিবি?
ঠিক যেভাবে বহু বছর আগে গোপনেই
ঠিক করেছিলিস শাসনতন্ত্র
কার অনুগত হবে;
ঠিক যেভাবে বছরের পর বছর
মানুষের স্বধীনতাকে ক্ষুণ হতে দিয়েছিস
স্বেচ্ছায় স্বহস্তে;
ঠিক সেভাবেই প্রেমকেও
নিজের অনুগত করতে চাস।
কেনো রে, প্রেম বুঝি তোদের- কেনা সম্পদ।
যখন তোর নিজের মা
ডুকরে ডুকরে কাঁদছে ঘরের কোণে,-
কবির কলম থেকে
রক্ত টপ টপ করে ঝরছে-
আর প্রতিটা রক্ত বিন্দু থেকে
জন্ম নিচ্ছে এক একটা কবিতা;
তখন তোরা রাজনীতির ছলেই
কখনো নরমে, কখনো গরমে,
কখনো আবার সহমর্মিতার সূরে বলে চলেছিস,-
আর যাই হোক, প্রেম, তোমাকে মুক্তি দেবনা।।