প্রিয় পাখিটির ছিল মন খারাপ
কেউ জানতে চায়নি; এমনকি ঈশ্বর!
অতঃপর সে নিরিহ হৃদয় নিয়ে
পান করে হেমলক এক মেঘ স্থির সন্ধ্যায়,
মৃত্যু এত সহজ নয় যদিও।
জানে না অনেক আত্মহত্যাকারীগণ
ভাবে মরে গেছে তারা।

পাখিটির কোন দুঃখ ছিলো না
কারণ এও হতে পারে ধর্ম ত্যাগের
যে কোন গ্রন্থের সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিও থাকে
দুর্নীতির পাশাপাশি
সে কথা জানেন শহরের প্রধান আইন প্রণেতা
তার তৃতীয় কন্যাটি অথচ কেমন
নারী থেকে রূপান্তরিত হয় মানবী!

স্বভাবত পুরুষের চোখ স্থির হয় শেষ রাতে,
সেদিন বেঁচে থাকার আর একই নাম
দিয়েছিল "স্বাধীনতা" এক পঞ্চাশোর্ধ পাগলিনী।
শব্দটা প্রাচীন কাল হতেই আপেক্ষিক এবং
আন্তর্জাতিক।
শুনতেও শ্রুতিময়
আর বেশ কবিতাপোযোগী
পঙ্কতিমিলও তুলনামূলক সুলভে
পাওয়া যায় ইদানীং শব্দটির।

আসুন শুদ্ধ উচ্চারণ করি "নিশিস্বপ্নসাধনা"
জাগিয়ে তুলি বিষাদ প্রহরী স্বপ্নকে
আয় চোখ বন্ধ করি
দৃষ্টি অন্ধ করি
এসো চোখ খুলে রাখি
আসুন উৎকৃষ্ট রাজা এবং নিকৃষ্ট প্রজাগণ দেখি যুদ্ধরক্তমৃত্যু
মঞ্চটা চমৎকার। কুশলীরাও।

রৌদ্র; সবুজ পুরে যায়
কুরআনও পুড়ছে, কে অপরাধী?
ভাঙছে প্যাগোডা, ছোঁয়াচে মহাব্যধি
নিয়ে বড় হচ্ছে দেশ।
আত্মা হত্যার সময় কী হয়ে গেছে ?
"বেঁচে আছে নাকি?" বলিল- প্রতিবিম্ব জলে।

আমায় জানাবেন কেউ !
পাখীটিকে, প্রিয় পাখীটিকে দেব ইচ্ছেমুক্তি
সে নামবে পথে, উড়বে আকাশে
সে জানবে স্বাধীনতার আভিধানিক মানে কেউ জানে না
যারা জেনে ছিলো—যারা জেনে যায়;
প্রতিনিয়ত তারা বধ্যভূমি হতে অক্সিজেন হয়ে
আমাদের দেহে প্রবেশ করে।
আহ, মুক্তি ! কি ভীষণ বেঁচে আছি !

তাঁদের কবরে এপিটাফ কেউ লেখে না