এই বিদায়ের পর
আমরা কারও মুখ মনে রাখব না
প্রতিজ্ঞা করলাম।
“এটা উদযাপন করা যাক”— বললাম।
সানন্দে রাজি হল সে।
সান্ধ্য আঁধার
চমৎকার
১৪১ তম এবং শেষ যৌথ ভ্রমণ
প্রিয় রেস্তোরাঁ
পরিচিত চেয়ার
অপরিচিত মুখ
দেয়ালে “জন ডন” রোম্যান্টিক কবি।
পর্দাগুলো নীল, কাঁপছে।
গোল্ড ফ্লেক ঠোঁটে আমি গল্প করছি
ধোঁয়া কফি হাতে আমরা গল্প করছি
কোন দুঃখবোধ নেই স্বাভাবিক যেন পিকাসোর
“দ্যা আর্টস অফ লাইফ”।
“রাত জেগোনা, ঠিকঠাক খেয়ো, টিকটিকি
আর কবিতা নিয়ে বেশি ভেবনা। এসব বোকাদের কাজ”— ও বললো।
“শুনেছি ওখানে দারুণ শীত; তুমি ভালো থেকো”
আমি বললাম।
এরপর শ্মশানের নিস্তব্ধতা ভৌতিক হাওয়া দিচ্ছে
যেন উত্তরের জানালা জেনে গেছে বিদায় !
একটা মাছি এসে জানান দিল কফিদের শীতকাল।
পর্দাটা নীল, কাঁপছে।
তার চোখে তাকালাম
উজ্জ্বল দৃশ্য এক গত জন্মের ভুলে যাওয়া পাপ;
হাত স্থির হল হাতে।
বিদায় ভুলে গেল আমাদের নির্ভুল ঠোঁট।