লিখবো বোলে -খাতা খুলে কলমের গোড়া কামড়াই
ভাবতে থাকি শব্দ, লম্বা লাইন
একটা ট্রেনও হতে পারে
দীর্ঘ।
তাঁকে ভাবি
অথচ মাথায় ঘোরে
পাড়ার মোড়, চায়ের দোকান, কেটলির পোড়া তলা
যদিও বহুদূর যাবার কথা ছিলো।
অনুভব কোরি তাপ, প্রেম আর ঠোঁটের উষ্ণতা।
শরীরে অবসাদ নিয়ে টের পাই শীত
মেঝে থেকে শুষে নিচ্ছি অজস্র শিরশিরানি।
সময় চলে যাচ্ছে
চশমা মুছতে মুছতে দেখি
চোখের সামনে নগ্ন মদের বোতল
তার গায়ে লেগে আছে বিষাদ -যেনো কয়েক ফোঁটা শিশির।
ঘরের ভেতর হেঁটে বেরায় বেপরোয়া প্রিয়তমা
চিরপ্রিয় মুখ থেকে সমস্তই মুখস্ত
না তাকিয়েও বোলে দিতে পারি -কোথায় স্পষ্ট তিল!
ফিনফিনে শাড়ির কটা প্যাচ
সুডৌল স্তনের আভিজাত্য আমি চিনি।
আমি জানি, তার আচল খসে যেতেই
ভোর হয়ে আসে
আলো ফোটার আগে
নাভিদেশে সে কি ভরপুর লুকোচুরি!
আচমকা নাকে লাগে কস্তূরী ঘ্রাণ
আমি তাকিয়ে দেখি।
ভাবি,
একদিন এই সবকিছুই লিখবো
-একটা ছিপছিপে কবিতায়
ভাবতে ভাবতে কলমের গোড়া কামড়াই
অন্যমনস্ক চুষতেই কালি উঠে আসে
খাতা তুলে রাখি
শাদা পাতা, বক হয়ে উড়িয়ে আনে সকাল
কুলি কোরতে কোরতে ভাবি
আজ নয়, লিখবো অন্যএকদিন।