এইযে আমি মাঝেমধ্যে ম্যালা ব্যস্ত থাকি। কাজকাম কোরি। কাজের ফাঁকেফুঁকে দম নেই,
ভাবতে থাকি-
তুমিওতো একরকম নিঃশ্বাস আমার
সমায়ে অসমায়ে তোমারে টানি।
ভাবি। খালি তোমারে নিয়াই ভাবতে থাকি।
নিজেরে নিয়া, অমুকরে নিয়া--
কুনখানে কার কি হইছে আইজ
এইসবের কিছুই মাথায় থাকে না,
এইগুলা ভাবিও না।
খালি ভাবি-- এক আটলান্টিক দূরে
কাইল তোমার সাথে কি হইতে পারে সেই কথা।
ডানা নাই। তোমার কাছে যাইতে পারি না যখনতখন
তোমারে এড়ায় যাবো, তার উপায়ও তো নাই
তোমারে ইস্তেফা দেওন যায় না, ছাইড়া দেওন যায় না
তয় দিনের ব্যালায় বিরতিতে পাঠান্ যায় কিছুক্ষণ।
রাইত হইলে একটা ফিফটি-ফিফটি চান্স নিয়া ঘুমাই। স্বপ্ন দেখি। খালি উল্টাপাল্টা।
দেখি স্বপ্নের ভিতরে ভাইসা যাইতেছি শূন্যে,
সাঁতার কাটতেছি।
চোখের সামনে একখান নীলা গুলটি ছোটো হয়া আসে, ঘোরপাক খায়।
ভার নাই, ওজন নাই। সামানে খালি ভাইসা যাই।
কই যাই?
পিত্থিবীর বাইরের কোনো দ্যাশ?
এইখানে হওয়া নাই, বাওবাতাস নাই, খালি ভাসি আর ভাসি। ডিগবাজি খাই।
আমি কি তাইলে আসমান ছাইড়া বাইরায় গ্যালাম গা?
আমি কই যাইতেছি এইভাবে একা একা?
তোমারে ছাড়া-- আমারতো কুনোখানে যাওয়ার কথা আছিলো না।