একজন শিল্পীকে বলা হলো শুতে-
সংকোচহীন।
যেনো অভিনয়সংক্রান্তই এই সহজ শোয়া। স্বাভাবিক ঘরোয়া রেওয়াজ।
লাইট ক্যামেরা আর একশন কাটের আগে-
মাগী চরিত্রে তার দক্ষতা কতোটুকু-
প্রডিউসার একটু পরীক্ষা কোরে দেখতে চাইছেন।
প্রসপেক্টাস হাতে বিজ্ঞাপনদাতা-
একজন ডিরেক্টর যিনি মূলত ক্যানভাসার- জানাচ্ছেন অসংখ্য প্যাকেজ অফার।
এসব প্রতিভারই কদর। শিল্পসুযোগ?
ভিন্ন কিছু হবে হয়তো। হতে পারে শুধুই সুযোগ।
কিন্তু ভেতর বোলছে অন্য কথা। সুযোগ জানিয়ে দিচ্ছে অভারটাইম-
অথবা অল্প ঘামে কেনা বাড়তি কামাইয়ের খাম।
সুযোগ, আর একটু সহজ জীবন। দুটো ফ্রি পেটি।
মচমচে ইলিশ ঘ্রাণে শৈল্পিক ডিনারের প্লেট- মেলামাইন খিদে।
আজকাল মাথাভর্তি গু নিয়ে লাফঝাঁপ করা চিংড়িদের আক্ষেপ দেখি।
দেখি চর্চিত বিষয়াবলি। দেখি অতীত এবং বর্তমানের মাঝ বরাবর ঘুরছে ভবিষ্যৎ
শুনি বিশ্লেষণাত্মক বিবৃতি।
গুণীজনদের বিকৃতরুচি এবং সাহিত্যফাঁদ না বুঝেই-
বিভিন্নরকম রস ও রসিকতা গিলি
কিছুতে স্বাদ নেই। তৃপ্তি নেই।
উপরন্তু উড়ন্ত সব চিন্তা ভাবনা- উড়ে এসেই জুড়ে বসে
আমিও ভাঁজ হয়ে বসে থাকি চেয়ারের আরামে
দর্শক সারি ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে পারি না
চোখ বন্ধ হয়ে আসে তবু তাকিয়ে থাকি
দেখি মাল্টিপ্লেক্সের স্ক্রীনে দৌড়াচ্ছে একটা লেজহীন শেয়াল-
পেছনে আরো কয়েক'শ। নিজেদের ভাবছে মাতবর, এজাহারহীন ত্রাণকর্তা সকলে।
এসব অস্থিরতা দেখে অস্বস্তি হয়। দমবন্ধ লাগে।
আত্মহত্যার প্লান কোরি। কিন্তু পারি না।
ব্যর্থ হবার পরে লুকিয়ে রাখি ভোটার আইডি, চরিত্রিক সনদপত্র অথবা মাথা।
ছায়া বাঁচাতে নিজেকে রাখি আয়নার ভেতর।
সময় খারাপ দোহাই দিয়ে সামলে থাকি। কাদা আটকাতে ব্যবহার করি সাবধানী ছাতা।
জিহ্বা আর আঙ্গুলের অপচয় রোধে আমার প্রাকটিস গলা থেকে বলা পর্যন্ত।
বিক্রয়যোগ্য মস্তিষ্ক আর দুর্বল পাচনতন্ত্র নিয়ে জন্ম নেয়া আমি-
এতোকিছু হজম কোরবার জন্য যখন হাজমোলা চুষছি- তখন সামনে এলেন একজন কবি, যাকে বলা হলো চোর।
এরপর নিজেকে শুয়োরের বাচ্চা বোলতে আমার আর কোনো আপত্তি থাকলো না।