যে জিনিসটার অভাব কখনো হয়নি জীবনে
তা হলো- অভাব
জানি, এই লাইনটাকেই টেনেটুনে
একটু বড় কোরে ফেললেই লেখা হয়ে যাবে কয়েকটি দীর্ঘ কবিতা

জানি, এই একটা বিষয় নিয়ে বোলতে বোলতে
বীপ্লবীদের মতো
বদলে দেয়া যাবে সমাজ
বদলানো যাবে সরকার, রাষ্ট্রকাঠামো
শুয়োরের মতো ঘোঁতঘোঁত কোরতে কোরতে  
দৌড়ে বেরানো যাবে গোটা মাঠ
অথবা মানুষের মতো কাটিয়ে দেয়া যাবে একটা জীবন
অহেতুক

এরকম দর্শন, এরকম তত্ত্বকথা
এরকম অনর্থক অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে
ভাবতে ভাবতে
বহু কিছু লিখে গ্যাছেন আমাদের অগ্রজেরা
যেভাবে অনেকে লিখছে এখন এবং আরও লেখা হবে

আমিও লিখছি
লিখবো কি লিখবো না কোরে- লিখে ফেলেছি অনেক
বেড়ালের মতো ল্যাজ নাড়িয়ে-
খাবো না খাবো কোরেই খেয়ে নিচ্ছি পুরোটা

মূলত জ্ঞানহীন আমি কি লিখি?
আসলে কি লিখি কুপমণ্ডুক  আমি?
কবিতায় জীবন অথবা জীবনের ভেতরে কবিতা
কবিতার বিপরীত কিম্বা লিখি না কিছুই

তাতে কি থেমে যাবে সব? এতেই মিটে যাবে অভাব?
পালটে যাবে দিন?
উড়ে যাবে অভিবাসী পাখির ঝাঁক-
বদলে যাবে তাদের
সমস্ত ভাবনা? ফিরে যাবে স্বদেশ?

জানি, এখন এই আধুনিক সময়ে এসে
মানুষ- প্রায় জেনে গ্যাছে সমস্ত অজানা
মানুষ বুঝে নিয়েছে মানুষের ভাবনা-

বুঝে নিয়েছে ভাবনাই তার একমাত্র মৌলিক অস্ত্র
ভরসার বস্তু

তবুও কি সম্মুখ সমরে -
অতিরিক্ত ভাবনা তাকে নিরস্ত্র কোরে দ্যায় না কখনো?
সম্পূর্ণ নিরস্ত্র না'ও যদি করে- নষ্ট কি কোরে দ্যায় না সঞ্চিত বারুদ?
ভেঙ্গে ফ্যালে না আত্মরক্ষার ঢাল, সুরক্ষা বর্ম?

হয়তো এসবের কিছুই করে না
তবুও তো ভাবনা আহত করে
পঙ্গু করে
নিজের জালে-
ওউন গোল দিয়ে পণ্ড করে খেলা

আমি জানি, যুদ্ধ আর খেলার কোনো শেষ নেই
নিশ্চিত হেরে যাবো- তাও জানি
এসব জেনেও কি ভাবনাহীন দু-একটি যুদ্ধ, দু-একটি খেলা
জেতার ইচ্ছে কি আমার হবে না কখনো?