ভাতের সাথে মধ্যস্থতা কোরতে কোরতে
নিজেকেই দেখি বারবার
দেখি অসংখ্য আমি, আমরা একসাথে নেমে এসেছি
এইখানে, এই ক্ষুধার্ত সড়কে
আমরা প্রত্যেকেই একেকটি কবিতা
একেকটি মিছিল
অসহায় পেট এবং পকেট নিয়ে
জীবন্ত সাহিত্যের পাতা পড়ছি, পড়েই যাচ্ছি
দেখছি নাটক, সিনেমা আর হাতে আঁকা ছবি
এসবই জীবন
এসবও সাহিত্য
একই বাসের সহযাত্রী
একই রাস্তায় হাঁটা লোক
অথচ কেউ জানি না-
কে কোন উপন্যাস থেকে এসেছি
আমরা জানি না
কে কোন গল্পে, কে কোন কবিতায় যাচ্ছি
কাকে কোথায় পড়া হয়ে গ্যাছে? কে জানে?
অথচ না জেনেও আমরা ঢুকে গ্যাছি, ঢুকে যাচ্ছি বইয়ের পাতায়
যে সব সাহিত্য, যে সমস্ত শব্দ আমাদের জীবন থেকে তুলে নেয়া হলো
তার বদলে আমরা কি পেয়েছি?
একপ্লেট ভাত? একটা চাকরী?
একটা ভালো জামার অভাবে আমরা যখন
যেতে পারছি না কোনো সাহিত্যের আসরে
যেতে পারছি না কোনো সভায়, সেমিনারে
তখনও বিক্রি চলছে
হোলসেল, ফ্লাট-রেট আর বিভিন্ন ছাড়ে
বিক্রি হচ্ছি আমরা, আমাদের জীবন
বিক্রি হচ্ছে
আমাদের শব্দ আর কথা
আমাদের প্রেম আর প্রেমিকারা
একটা ব্রেক দরকার
একটা পরিবর্তন
খুঁজে দ্যাখা প্রয়োজন
জীবনের ভেতরে ঢুকে জীবনের
সাহিত্যের ভেতরে ঢুকে সাহিত্যের
মোড় ঘুরিয়ে দেবার একটা রাস্তা
কিন্তু সেই রাস্তাটা খুঁজতে গ্যালেও
চোখে পড়ে
রবীন্দ্রনাথের গল্প কবিতার অসংখ্য চরিত্র
তারা কেউ জানেন না কতো বছর আগেই তাদের জীবনটা লেখা হয়ে গ্যাছে
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও জানতেন কি না, জানি না
আমি কখনো রবীন্দ্রনাথকে পড়িনি
শুধু জানি- গণিতের মাস্টার
তিনিও ভুল করেন জীবনের অঙ্কে।