নিদ্রাহীন চোখে তুমি অন্ধ হয়ে রয়েছ এখনো,
পঞ্চমীর শেষলগ্নে দেবব্রত দৃষ্টি দাও কাকে?
তোমায় দেখেছে সে'কী? তার চোখ দিয়ে সে কখনও?
তাকেই গড়েছ, যিনি অবহেলা করেছে তোমাকে।
খাঁচাই বেঁধেছ তুমি নেহাতই বাঁশ, খড়, দড়ি,
ঘুরেও দ্যাখোনি কত নড়বড়ে তোমার কাঠামো,
ষষ্টি আগতপ্রায়, রাত জাগো, শুধু তড়িঘড়ি,
দেদার খাটুনি তবু পাওনি সঠিক তার দাম'ও।
মাটিও শুকনো হয় তার সাথে নিজেরও শরীর,
অসুখে ভুগছে ছেলে, ভুল পথে আটকে কোথাও-
প্রভাতের আলো তার, মন্ডপে জমে ছিল ভীড়
অষুধে অষুধে ভরা বোতলের নিকষ আঁধারও।
দায়ভাগী যে প্রতিমা তোমার উঠোনে বসেছিল,
উৎসাহী তার চোখে যতটা স্বপ্ন ছিল বাকি-
রাঙাতে পারোনি তুমি, তাই সেও অশ্রু চেয়ে নিল,
স্নেহের প্রাচীর ভেঙে চলে গেল দিয়ে শেষে ফাঁকি।
অনেক মাখলে তুমি কাদামাটি জল দিনে রাতে,
খড়ের প্রতিমাটিকে প্রলেপ দিয়েছ অবিরত,
রুপ দিলে, চক্ষু দিলে, দৃষ্টি দিলে, তবু উপেক্ষাতে
তুমি কেন বঞ্চিত রয়ে গেলে ওহে দেবব্রত?
ফুরিয়ে আসছে রাত, তন্দ্রিত মাকে দাও বস্ত্র -পরিধান,
চাইবার কিছু নেই, ওই দুরে ভেসে আসে আগমনী গান।।