ধর্মব্যবসায় ভরাডুবির ভয় খুব কম
সকল সাধুরই আছে-
আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার প্রবল সম্ভাবনা।
ওদিকে দেশটা গেল রসাতলে
বিপন্ন মানবতা, বিধ্বস্ত শান্তির ইমারত।
হঠৎ একদিন সত্যের হাত ধরে-
ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উঠে দাঁড়ায় মনুষ্যত্ব,
ত্রাহি ত্রাহি চিৎকার চারিদিক, বহিষ্কৃত মহাপাপ।
প্রলয়ঙ্করী এক শান্তির ঘূর্ণিঝড়ে-
কুপোকাত দুর্নীতিবাজ পুলিশ
ছিন্নভিন্ন দুঃশাসনের বুক,
যেন এক শান্তির সুবাতাস।
কিন্তু দুঃখের হয় কি অবসান?
সেইক্ষণে সেই জনবহুল সদ্যস্বাধীন রাজ্যে
শান্তির পতাকা উড়ায় ভণ্ড ধার্মিক।
ক্রমে মিথ্যের পাহাড়ে চাপা পড়ে চিরন্তন সত্য।
ঝড় থেমে গেলে শান্তির পতাকা নামিয়ে
ধর্মের পতাকা উড়ায় ভণ্ড ধার্মিক।
নামেই ধর্মের পতাকা অধর্মের উদ্দেশ্যে
জনসাধারণের রেহাই নাই, মৃত্তিকার রেহাই নাই
মহাবিশ্বের স্রষ্টা! তার আছে কি রেহাই?
ধর্মব্যবসায়ীরা আবার মেতে উঠে বর্বরতায়, আদিমতায়।
অধর্মের শিখা উড়িয়ে চলছে ধর্মচক্র।