তুমি অমন করেই হাসলে কেন?
শুভ্র মেঘের মত,প্রস্ফুটিত গোলাপের মত
দিগন্তে মিলিয়ে যাওয়া উড়ন্ত পাখির মত,
পাহাড়ি ঝরনার মত ছন্দময় গতিবেগে।
আমি যে খাঁচার ভিতর ডানা ঝাপটাই
চোখ বুজলেই ঐ হাসির দেখা পাই
চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ি
তোমার ঐ হাসির তরেই মরি।
তুমি অমন করেই হাসলে কেন?
হরিণীর কাজল চোখ হারিয়ে দিয়ে
স্বর্ণকমলের আভা নিভিয়ে দিয়ে,
ঠোঁটের কোনের বর্শার ফলা-
ঠিক আমার বুকেই ছুঁড়ে মারলে।
হৃৎপিণ্ডের শেষ স্পন্দনটা শুনতেও ভুলে গেলাম
হাসির বিষে এক নিমিষে জ্ঞান হারালাম।
তুমি অমন করেই হাসলে কেন?
প্রেমের সুর বাজিয়ে
পুষ্পশয্যা সাজিয়ে
আমাকে ডেকে পাঠালে যেন।
তুমি অমন করেই হাসলে বলে,
শক্তিহীন এ দেহ প্রাণহীন হতে চায়
শুধু তুমিই দিলে না সায়।