চাঁদের হাসি যে দেখে না সেই তো আসল অন্ধ
জন্মান্ধ তারেই বলে, যার নাকি নেই ছন্দ
চোখটা মেলেই যায় না দেখা অমরাবতীর পথ
দুচোখ বুজেই দেখো সাধু ভূত-ভবিষ্যৎ।

সন্ধ্যে হলে তেজ ফুরিয়ে রঙ হারিয়ে অস্ত যায় রবি
প্রভাতকালে তিনিই আবার দেখান আসল ছবি
তেমন করেই জাগো নাবিক ছড়াও তোমার দ্যুতি
রাতে ঘুমাও গভীর ঘুমে, জাগো এলে প্রভাতী।

ক্ষুধার্তরে দেখে যার ক্ষুধা না পায়
ভালো মানুষ কি আর তারে বলা যায়?
নিজের জন্য না মরে রাজন পরের তরে মরো
অমরত্ব তবেই পাবে, আসল রাস্তা ধরো।


উদাস মনে শিস বাজিয়ে যাচ্ছ যেথা যাও
ভবের হাটে উঠবা যদি রসদ কিছু নাও।
জীবনতরী ভাসাও মাঝি বৈঠা ধরো শক্তপোক্ত
কোন নদীতে ভেসে বেড়াও লিখে রাখে চিত্রগুপ্ত।