ধূমধামে কুমারী পূজা আরজিকরের সেমিনার হলে,
ধূপ-ধুনো ঢাক-ঢোল আর কাসর ঘন্টাই সে কি না আয়োজন,
প্রথমে আমায় জাগ্রত করে চলে আমার আরাধনা,
বস্ত্র আমার ভূলুণ্ঠিত চলে করাতের আনাগোনা,
প্রথমটাই তো বুঝতেই পারিনি একি আমার গতি,
পরে চিনি এরা যে সব আমারি সহপাঠী।
করাত দিয়ে পূজোর পরে চলে সিন্দুরের খেলা,
আমার রক্তে রাঙিয়ে চলেছে আমার হত্যালীলা ।
গলায় ভাঙলো একটা হাড়, আর কোমড়ের দুটো,
সেকি ভক্তি আমার পূজোয়, এটাই মানুষের মনুষত্ব।
এবার আমার বিদায় বেলা, চাহি মমতার চোখে,
সবাই ক্লান্ত পরিশ্রান্ত, কুমারীপূজার শোকে।
আবার আসিবি ফিরে মা, এই আরজি করের হলে,
এবার ভেঙেছে যে কটা হাড়, দিগুণ পরের বারে,
মানুষ আমরা পশু নই, করি কুমারী পূজো,
ডাক্তার আমরা, ডাকাত নয়, হ্রদয়টা যা অকেজো।
আমিও চেয়েছিলাম ডাক্তার হতে, তোরা করলি পূজো,
সিস্টেমে না থাকতে গেলে, কি পরিনতি হয় বোঝো।
যাই এবার অনেক হলো, আসব আবার,
জানি বিচার বন্ধ হবে, রাত দখল বেকার।