প্রথম যেদিন দেখেছিলেম তোমায়,
কেশ থেকে ঝড়ে পড়ছিল জলের ফোটা,
বুকের ভিতর আকুল উঠাল পাথাল,
অনেক আশা নিয়ে, মন বেধেছিল বাসা ।
ভবিষ্যতের অচিন পাখি দিয়েছিল সপ্ন উড়ান,
মন ভেবেছিল তোমার নামেই জান্নাতের খুশীর ফরমান ।
মন শক্ত করে বাসের সিটে তোমার পাশে বসা,
জানালার দিকে তাকালেও ,
সমস্ত ইন্দিয় তোমাতেই ছিল কেন্দ্রীভুত ।
শীহ্ড়ন লেগেছিল সারা শরীরে,
রাতে এলেনা ঘুম একটুও।
দিনের পড় দিন কেটে যাই,
রাতের পড়ে রাত,
দিবা-সপ্নই সম্বল যা,
আমি যেন নিশাচরের জাত।
রাস্তাঘাটে , বাসে-ট্রামে য্ত বারই দেখা,
বুক ভেতর ছেৎ করে ওঠা ,
অসহ্য আবেগে হ্রদয় মুশরে যাওয়া,
এসব বার-বার, লাগাতার ।
একদিন অদম্য সাহসে , অসীম উত্তেজনাই ,
সমস্ত শক্তি সঞ্চয় করে, তার কাছে যাওয়া,
নীজেকে নি:শ করে, তার দিকে চেয়ে ,
অস্ফুট স্বরে, ভালবাসা নিবেদন।
প্রথমে উত্তরের অপেক্ষা, পড়ে আক্ষেপ,
মনে হছিল সব আশা শেষ,
তার পরে একদিন , সে এলো চুলে এসে,
আমার পাশে বসে, জানালো সম্মতি তার...
জীবনের সব চাওয়া-পাওয়া মিলে গেল যেন,
তার পর শুরু হল , একসাথে সপ্ন দেখা,
কত সপ্ন তার আর শেষ নেই।
একবার করে ভালোলাগা,
আবার সব সপ্ন ছিন্ন করে, বাস্তবের কুঠারে সব তছনছ।
ভয় লাগত মনে।
কিন্তু সপ্ন যখন ভাঙল ,
তখন সানাইয়ের সুরে পাড়াটা গমগম করছে,
বোধ হয় তখনো আমার গায়ের গন্ধ লেগে আছে তোমার বিয়ের চেলিতে...
প্রশ্ন একটাই,
তবে কি আমার জীবনে তোমার আসা,
শুধুই “মন ভোলানোর ভালবাসা”?
-তাং ২৮/০৩/১৭ (মঙ্গলবার)