মুঠো ফোনের দেহাবসানে
শব্দবন্ধ ভুলে,
বন্ধুদের নিকট হতে
দূরে গেনু চলে।
দুহিতার কাছে এসে
ওটিপির গুণে,
হারানিধি ফিরে পেনু
তৃপ্ত হনু মনে।
প্রায় দুটি মাস পরে
তোমাদের কাছে পেয়ে,
শুভকামনা জানাই আজি
মন - প্রাণ দিয়ে।
বড়দিনের প্রাক্কালে
মনের সকল আশা,
সান্তাক্লজ করুক পূরণ
দিয়ে ভালোবাসা।।

বড়দিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা
জানাই দুহাত ভরে,
আগামী বছর সুখে - শান্তিতে
কাটুক ভালো করে।

তোমার আমার প্রাণের টান -
এই ভালোবাসা -
আকাশ, বাতাস, জগৎ জুড়ে
একটিমাত্র ভাষা।

তোমরা সবাই ভালো থেকো
এইটুকুনিই চাই,
মন খারাপে সুহৃদ তোমায়
পাশে যেন পাই।

ভালোবাসায় ভরা ভুবন
প্রাণে দেয় দোলা,
সবার সাথে ঐকতানে
একসাথে পথ চলা।

তিনকাল যাওয়ার সময় এল
তবু কেন ভাবি -
মনকে চিরশান্ত করার
পেলাম না তো চাবি।

পরম চাষা চালায় লাঙল
আমার শুষ্ক বুকে,
মানব জমিন হবে উর্বর
ফলবে ফসল সুখে।

আজকে সূর্য ঢলে গেলেই
একটি বছর শেষ,
নতুন বছর আসবে ভেবেই
ভালো লাগছে বেশ।

নতুন সনের প্রথম দিনে
এই প্রার্থনা করি,
ফুলে ফলে আগামী বছর
উঠুক যেন ভরি।

বন্ধু সদা ভালো থাকো
এই কামনা করি,
সুখ, সমৃদ্ধি, ভালোবাসায়
জীবন তব উঠুক ভরি।

ভালো কাটুক নতুন বছর,
সকল দুঃখ যাক চলে,
মনে জাগুক নতুন আশা
সব ব্যাথা, গ্লানি ভুলে।

সবার সাথে মিলে মিশে
জীবন কাটুক ভাই,
দুঃখ ভুলে হেসে খেলে
চলে যেতে চাই।

চাওয়া পাওয়া ভিন্ন এই
তোমার আমার টান -
এই প্রকৃত ভালোবাসা -
জীবন পথের গান।

সকাল বেলার মিষ্টি রোদ
মন ভরিয়ে দেয়,
হালকা মিঠে ঠান্ডা বাতাস
প্রাণ জুড়িয়ে দেয়।

বন্ধু খুব ভালো থাকো
সারাটা দিন জুড়ে,
ভালোবাসার উজান বাতাস
সদা মনে ওড়ে।

ভোরের আলোর সাথে প্রাণে
বন্ধু যে দেয় ডাক,
ভালো থেকে, সুখে থেকে
দিনটা কেটে যাক।

সারা দিনের কাজের চাপে
সময় পেলাম নাকো,
শুভরাত্রি বলার আগে, বলি -
"বন্ধু ভালো থেকো।"

সবাই ভালো থেকো সদা
এই কামনা করি,
ঈশের করুণায় তোমার
জীবন উঠুক ভরি।

কাজের ভিড়ে মনের ফাঁকে
বন্ধুরা দেয় উঁকি -
হটাৎ করে দখিনা বাতাস
যেন করে মোরে সুখী।

ভালোবাসায় ভরা ভুবন
ছন্দে, তালে, সুরে -
অহর্নিশি জপি সে সুর
মনের অন্তঃপুরে।

সকাল বেলায় সবার আগে
তোমার মুখের হাসি,
সত্যি বলছি বড্ড আমি
দেখতে ভালোবাসি।

নানা রঙে ভালোবাসা
ছড়িয়ে চারিধারে,
যত্ন করে ভরে তাদের
সাজাই মনের ঘরে।

বন্ধুত্বই পরম প্রাপ্তি
এ মানব জীবনে,
শান্তি বারির পরশ আনে
রুক্ষ, শুষ্ক প্রাণে।

তুমি আমার প্রাণের মানুষ
ভালোবাসার জন,
তোমায় আমায় মিলে ভরা
এই ত্রিভুবন।

সুখের পরে দুঃখ আসে,
দুঃখের পর সুখ,
সকল সময় নাম জপে
জুড়ায় আমার বুক।

বন্ধু বলি, বন্ধু ডাকি
বন্ধু ভাবি যারে,
সুখে - দুখে, ভালো - মন্দে
পাশে পাবো তারে।

তুমি আমার বন্ধু সুজন
ভালোবাসার জন,
তোমার আমার জুড়ে থাকা
রইবে অনুক্ষণ।

সকালে উঠিয়া আমি
মনে মনে বলি,
সারাদিন ভালোবাসা
মেখে যেন চলি।

মনে আসন পেতে বসে
সুজন অন্তঃপুরে,
দুজনে গান গেয়ে চলি
নিত্য নতুন সুরে।

রবিবার ছুটির দিনে
ভারী মজা ভাই,
মাথার উপর ছড়ি ঘোরানোর
কেউ কোথাও নাই।

আজ রামের পোয়া বারো
অযোধ্যায় স্থাপন,
মনের মধ্যে করবো কবে -
রাম নাম বপন?

রাম বসলেন অযোধ্যায়
পুড়ল কত বাজি,
এবার তবে বিজেপি কে
ভোটটা দিতে রাজি??

জনগণ নায়ক তুমি
সকল চিত্ত মাঝে,
জন্মদিনে তোমায় স্মরে
উদ্বুদ্ধ হই কাজে।

শঙ্কা করিতে দূর
জপ সেই সুর -
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে তোমায়
কোন সে অচিনপুর।

ভালোবাসার টানে সকল
বিশ্ব ভুবন বাঁধা,
কোনো ভেদাভেদ নাইকো সেথা
শুনে লাগে ধাঁধা।

দেশের কথা, দশের কথা
ভেবো একটিবার,
প্রজাতন্ত্র দিবস আজ -
দিনটি যে প্রজার।

মানবজীবন হল একটি
শিক্ষা লাভের ক্লাস,
মহৎ আদর্শ ধরে তুমি
দিয়ে যাও পাস।

ভালোবাসায় ভরা ভুবন
সকল কিছু মিলে,
মিশে থাকো সেই আনন্দে
মনের কপাট খুলে।

ভালো থেকো বন্ধু মোর
সারা দিনের তরে,
জীবন তোমার ধন্য হউক
ভালোবাসায় ভরে।

ভোরে রবির প্রথম কিরণ
ছড়ায় ভালোবাসা,
তার সাথেই একাত্ম হতে
মোদের ভবে আসা।

জীবন পথে সকল সময়
মানিয়ে চলতে হয়,
স্মরণে রাখিও শ্রী মার বচন,
"যে সয় সে রয়"।

মনের ইচ্ছা দমন করে
সময়ের সাথে চল,
নিরন্তর জপ গুরুদত্ত নাম,
জয় করুণাময় বল।

নিজের সাথে নিজের আলাপ
করবে মাঝে মাঝে,
দিয়ে দোর ঘরের ভিতর
বসবে যোগীর সাজে।

সারাদিনের ভিতর এই
অল্প কিছু পলে,
তোমার সাথে জুড়ে আমার
সকল বেদনা গলে।

সারাজীবন কর্ম কর
গুরুচরণ ধরে,
বৈতরণী এই ভাবেই
যাবে পার করে।

তোমার মধ্যে থেকে যিনি
ধরে আছেন ভুবন,
কর্মের মধ্যে ফাঁক পেলেই
বন্দিও তাঁহার চরণ।

মায়ার টানে বাঁধা মোরা,
সংসার অসার,
মায়াধীশের করুণা বলে
খোলে রুদ্ধ দ্বার।

ভালোবাসা মায়ার নেশা
শরীর, মনের ক্ষুধা -
এসব ছেড়ে বহুদূরে
বহে অমৃত সুধা।

এই যে রোজ সকালবেলায়
ডাকো তুমি মোরে,
সেই আবেশে ডুবে থাকি
সারাটা দিন ধরে।

সংযম পাথেয় করে
চলে যে জীবনে,
তার মত সদানন্দে
কেউ নাই ভুবনে।

বন্ধু তুমি ভালোবেসে
চিরদিন পাশে থেকো,
আমরা গড়বো নতুন ভুবন -
প্রেমে ভরা, তুমি দেখো!

ভালোবাসার দিনে
মনের মানুষ চিনে,
হারিয়ে যাই যদি -
হয়ে যাবো নদী।

বন্ধু তুমি প্রিয় আমার
মনের বড়ই আপন,
ঘুম ভেঙে তাই হাতটি বাড়াই
আমি যখন তখন।

ভালো থেকো তোমরা সবাই,
এইটুকুনিই চাই,
সকল সময় সুজন তোমায়
কাছে যেন পাই।

শুভ কামনা দিয়ে তুমি
ধন্য করো মোরে,
মাথার হাত বুলায়ে যেন
অন্তর স্নিগ্ধ করে।

ভালোবাসা ছাড়া আর
আছে কি?
সেই পিরিতির ছোঁয়া মোরা
পাবো কি?

মাতৃভূমির পথে আবার
চললুম দেশের টানে,
আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব
মিলবো তাদের সনে।

বন্ধু তুমি ভালো থেকো
সারা দিনের তরে,
অবসরে গুরুদত্ত মন্ত্রখানি
জপো মনে করে।

গুরুর খাই গুরুর পরি
গুরুর গান গাই,
গুরু আমার গুরু তোমার
গুরুচরণ চাই।

মন করো গুরু নাম
অহোরাত্র স্মরণ,
এই একটি কর্মের
নিমিত্ত এই জীবন।

কামনা করি ভালো কাটুক
সারাটা দিন ভোর,
সুখে - দুখে থেকো অবিচল
এই প্রার্থনা মোর।

কুয়াশা মোড়া ভোরে চলেছি
রুমটেকের পথে,
বন্ধু - স্বজন তোমরা সবাই
থেকো কিন্তু সাথে।

নির্জনে, নিশীথে, শীতে
পড়ছে তোমায় মনে,
বন্ধু সদা ভালো থেকো -
তুমি প্রতিদিনে।

ঠান্ডা চাদর গায়ে দিয়ে
বসে আছি আজ,
ঘুরে বেড়াই এদিক - সেদিক
নাই যে কোনো কাজ।

প্রভুর দয়ায় ঘুরতে এসে
লাগছে ভালো বেশ,
প্রভুর নামেই দিনের শুরু
প্রভুর নামেই শেষ।

প্রভুর চরণ মাথায় নিয়ে
ঘুরি নানান দেশে,
নানাবিধ মানুষের মাঝে
রই ভালোবেসে।

পাখির ডাকে ভাঙে ঘুম
সূয্যি ওঠা ভোরে,
বন্ধু তুমি ভালো থেকো
প্রার্থনা করজোড়ে।

কদিন ঘুরে আজকে আবার
ফিরে যাবো ঘরে,
বেশ ভালো কাটলো সময় -
এখন মনটা কেমন করে।

খুশির শহর কলকাতা
বেড়িয়ে এলাম ফিরে,
ঘরের ছেলে অবশেষে
ফিরলো নিজের ঘরে।

কর্মসূত্রে যাচ্ছি চলে
সুদূর আফ্রিকা দেশে,
কিন্তু আমি রইবো সদাই
বন্ধু তোমার পাশে।

কর্মস্থলে পৌঁছলাম শেষে
বাধা বিঘ্ন ঠেলে,
বড্ড ক্লান্ত হয়েছিলাম
তাই প্রত্যুত্তরে ডিলে।

তুমি আমার প্রাণের সখা
তুমি আমার হরি,
তোমার আমার ভালোবাসার
পায়েতে গড় করি।

জীবন পথে চলার সময়
পরীক্ষা দিতে হয়,
গুরু নামের জপের গুণে
তার অন্ত হয়।

দিন আসে দিন যায়
ভাবি বসে তাই,
উদ্দেশ্য ভুলে আমি শুধুই
গান গেয়ে যাই।

বন্ধু তোমার ভালোবাসায়
ভরিয়ে দিলে মোরে,
তোমার এ ঋণ বলো আমি
শুধবো কি করে?

বন্ধু তুমি ভালো থেকো -
এই প্রার্থনা করে,
সারাদিনের সকল কাজে
মন দিই ভরে।

তোমার ভালবাসাই বন্ধু
আমার পরম ধন,
সারাদিন তাই খুশিতে ভরে
আমার প্রাণ - মন।

সারা দিনের কাজের ফাঁকে
তোমায় স্মরণ করে
মনে জোগায় আশা, উদ্যম,
আনন্দে প্রাণ ভরে।

কাল ছিল 'নারী দিবস',
বলি শোনো ভাই,
অন্তরেতে নারী-পুরুষ
কোনো প্রভেদ নাই।

সুখ গুরুচরণ এ কেবল
আর কোথাও নাই,
প্রভুর চরণ মাথায় নিয়ে
তরী বেয়ে যাই।

অকাজ - সুকাজ যাই করো
সারাদিনের তরে,
মনটা তোমার আঁকড়ে রেখো
গুরুচরণ ধরে।

ভালোবাসা ভূবনময়
ছড়িয়ে দশ দিশায় -
তারই নাম ভগবান
তোমায় - আমায় মেলায়।

শরীর উন্নতির সোপান
যত্ন নিও তার,
তাইতো সকাল - সন্ধ্যে হাঁটি
আর দিই সাঁতার।

কর্ম কর যোগীর বেশে
ভৃত্য রূপে সেবা,
গুরুচরণ বক্ষে তোমার
মত ভাগ্যবান কেবা?

গুরু কৃপা অহরহ
ঝরে অঝোরধারায়,
কাজের মাঝে সে পরশে
মনটা কোথা হারায়।


মনটা হয়ে প্রজাপতি
যায় পরীদের দেশে,
ভালোবাসায় মজে সেথা
হারিয়ে গেল শেষে।

ভালোবাসা মায়ার নেশা -
যশ, মন, ধন, নারী,
ঘুচিয়ে তারে দেখাও মোরে
সর্বভূতেই হরি।

তুমি আমার প্রিয় ওগো
বড়ই আপনজন,
একটি তারেই বাঁধা আছে
তোমার - আমার মন।

বন্ধু তুমি ভালো থেকো,
অন্তর থেকে চাই,
তোমার নিঃস্বার্থ প্রেমের আমি
পরশ যেন পাই।

নিজের মনের সাথে যুদ্ধে
জয়ী হতে চাও,
রণে, বনে, ঘরের কোণে
জপ করে যাও।

ত্যাগ, উদারতা, সংযম -
তিনটি বড় গুণ,
চর্চা করলে যায় অহং
ভেঙে যায় ঘুম।

"ভালোবাসা রাজার রাজা
নয় কি ভুবনে",
সেই রাজার চরণে প্রণাম
জানাই সর্ব ক্ষণে।

হাতে হাতটি দিয়ে মোরা
গড়বো নতুন দেশ,
ভালোবাসা মাখা পবনে
অসীম সুরের রেশ।

ভালোবাসার রঙে মাখা
আজকের এই দিন,
মনকে সবার মনের রঙে
রঙিন করে নিন।

দোলের দিনে সবার মন
আনন্দেতে দোলে,
ভালোবাসার রঙে রেঙে
সকল ব্যাথা ভোলে।

ভালোবাসা ঝরে পড়ে
আনাচে - কানাচে,
বৃথা তারে খুঁজে মরি
শরীরের খাঁজে - খাঁজে।

সদগুরুর দর্শনলাভ
বহু জন্মের পুণ্য,
সেই চরণে সমর্পণ -
ধন্য তুমি ধন্য।

গুরুর নয়ন - গভীর, গহন
নাই যে তাহার তল,
সেই অতলে ডুব দিবি কবে -
বল রে ও মন বল।

গুরুর কথা এলে স্মরণ,
জলে ভরে দুইটি নয়ন,
বিনা কারণে,
মনটা হটাৎ হয়ে উদাস
ভেসে বেড়ায় সুনীল আকাশ
কোন স্বপনে?

ভোরে উঠে সর্বপ্রথম
তোমার মুখের হাসি,
প্রিয় আমার সত্যি বড্ড
দেখতে ভালোবাসি।

দিনটি তোমার ভালো কাটুক
এইটুকুনি চাই,
প্রভুর চরণ বক্ষে ধরে
প্রেমের গান গাই।

সময় বড় মূল্যবান
যেবা করে হেলা,
ঘুরে আবার আসতে হবে
পুরনো বোঝার ঠেলা।  

রবিবারের মজা ভারী
সকল কাজের ছুটি,
সারাটাদিন নেচে কুঁদে
করি লুটোপুটি।

বন্ধু তোমার হাতটি ধরে
পাশে থাকতে চাই,
জনম জনম তোমার মত
বন্ধু যেন পাই।

গুরু প্রদত্ত বীজমন্ত্রখানি
বড় শক্তিশালী,
সকাল সন্ধ্যা যখন পারবে -
জপ করে যাও খালি।

তোমার - আমার ভালোবাসা -
এই তো ভগবান,
তোমার সাথে জুড়ে থাকা
বিশ্বপ্রেমের টান।

ইন্দ্রিয়াতীত সত্য তুমি
অবাঙমানসগোচরং
তোমার সাথে মিশলেই সব
জলবৎ তরলং।

গুরুর নাম মাথায় নিয়ে
করো সংসার,
হেসে খেলে ঠিকই হবে
বৈতরণী পার।

সকাল সকাল দেশে ফিরে
মনটা লাগে ভালো,
প্রভুর নাম ঘুচিয়ে দেয়
অজ্ঞানতার কালো।

জীবন পথে চলার কালে
হিল্লি - দিল্লি করি,
প্রত্যুষে নয়ন মেলে শুধু
গুরুকে মাথায় ধরি।

নিজের রাশ নিজের হাতে
না ধরলে পরে
পিছিয়ে পড়বে তুমি বৃথা
সময় নস্ট করে।


তোমার আমার প্রেমের টানে
ভাসি সারাক্ষণ,
সত্য, সুন্দর ভালোবাসায় ক্রমে
লুপ্ত হয় মন।

দিবা রাত্রি অঝোর ধারায়
বৃষ্টি ঝরে যায়,
অফিস যাওয়া, কাপড় শুকানো
সত্যি ভীষণ দায়।

জ্ঞানে অজ্ঞানে করো
প্রভু দত্ত নাম,
জীবনে মনুষ্যের এই
একটিমাত্র কাম।

গুরু মন্ত্রের কি যে মধু
জানতে হলে মন,
অহোরাত্র, চলতে ফিরতে
জপ সর্বক্ষণ।

তোমাদের এই ভালোবাসায়
বেঁচে থাকি আমি,
পরিবর্তে ভালো কামনা করি
জানেন অন্তর্যামী।

মাতৃভাষা, মাতৃভূমি
গ্রাম বাংলার টান,
উদাস করে যখন তখন
ব্যথায় ভরে প্রাণ।

দিনের শুরু হয় গো আমার
ভেবে তোমার কথা,
যেভাবেই থাকো, সুখে থেকো
বন্ধু যথা তথা।

বন্ধু তোমার ভালোবাসার
কি দিব প্রতিদান,
প্রভুর সুরে প্রভুর কথায়
শুনায়ে যাই গান।

প্রখর দহন কালে
শুন দিয়া মন,
নুন জল পান কোরো
তুমি সর্বক্ষণ।

অহং বড় বিষম ব্যাপার
সব আপদের মূল,
প্রভুর নামে কবে যাবে
ভেবে হই আকুল।

তোমার আমার ভালোবাসার
অন্তরালের সুর,
চিরন্তনী সে যে বাজে সদা
মন করে মেদুর।

জীবন নদীর চলার পথে
ঝড় তুফান ভারী,
গুরুর হাতে বৈঠা দিয়ে
গলা ছেড়ে গান ধরি।

প্রাণের মানুষ
প্রাণে ধরে
বাস করি
সকল ঘরে।

ষড়রিপুর পারে যেতে
শোন রে ভোলা মন,
সকাল সন্ধ্যে গুরু মন্ত্র
জপ অনুক্ষণ।

একেলা এসেছ একেলা যাবে,
তবু মায়ার ঘেরে,
প্রেম, প্রীতি, লোভ, লালসা বন্ধনে
কেন জড়াও আপনারে?

একেলা কোথায় কবে ভবে
ছিলি রে ভোলা মন,
পরম পিতা সংগোপনে
পাশে আছে অনুক্ষণ।

ভালোবাসার চরম সীমায়
আপন - পর নাই,
ঈশ্বরানুভূতির একটি ঝলক
তখন যেন পাই।

শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও প্রেম তিনটি স্তম্ভ
আছে ভালোবাসায়,
কিন্তু যে প্রেমে সারা জগৎ ভাসে
তার থই নাই পায়।

রবিবার ছুটির দিনে
ঘুরতে যাবো আজ,
খাবো দাবো মজা করবো,
পরবো নতুন সাজ।

বন্ধু তুমি থেকো সুখে
সারা দিনের তরে,
প্রভুর কাছে এই নিবেদন
তোমার বন্ধু করে।

অনিত্য শরীরে নিত্য তুমি
বসে আছো বলে,
শরীরটার বিশেষ যত্ন নিতে
যেও না মিত্র ভুলে।

সহ্য এবং সবুর করা
বড় গুণ বটে,
এতদ্বারা নিঃস্পৃহতার
বিকাশ মনে ঘটে।

ভালোবাসা আছে জেগে
বিশ্বভূবন মাঝে,
সেই পরশে ডুবে থেকো
তুমি সকাল - সাঁঝে।

ঝড় ঝাপটা সইতে হবে
গুরুর পথে চলে,
তুমি সবচিন্তা সঁপে দিও
তাঁরই চরণ তলে।

ঘুরে ফিরে যাওয়া আসার
চক্রব্যূহ ছেড়ে,
গুরুচরণ ধরে একদিন
সত্যি যাবে উড়ে।

বন্ধু হল মনের মানুষ
চাওয়া পাওয়া নাই,
তাহার কাছেই সকল কথা
উজাড় করে যাই।

বন্ধু তুমি ভালো থেকো
মনে মনে চাই,
তোমার মুখে সদা হাসি
দেখতে যেন পাই।

মনটা আমার জড়িয়ে ধরে
আছো ভালোবেসে,
প্রতিদানে কি আর দিব, ছড়া
বাঁধছি ঘুমের শেষে।

ভালোবাসার ঢেউয়ের তালে
ভেসে ভেসে যাই,
মনের ভিতর প্রতি পলে
প্রভুর পরশ পাই।

মনের ভিতর গোপন ঘরে
গুরুর সাথে বাস,
বলতে আমার লজ্জা করে -
খবর কিন্তু খাস।

ভোগী ও ভোগ্য বস্তুর
সম জ্ঞান যার,
মানুষরূপী ভগবান -
চরণ বন্দ তাঁর।

যাযাবরের জীবন আমার
বয়ে চলি নদীর মত,
ভালোবাসার গভীর টানে
ভেসে যায় অনিত্য যত।

সবার সাথে মিলে মিশে
কাটছে যে দিন বেশ,
যাওয়ার কালে নিয়ে যাবো
সেই ভালোবাসার রেশ।

তোমায় আমি ভালোবাসি
বলছি আমি আজ,
ভালোবাসা বিনা আমার
নাইরে কোনো কাজ।

ষড়রিপুর জ্বালায় জ্বলে মরে
মানুষ নিশিদিন,
মুক্তি শুধুই গুরুনামে
এইটে জেনে নিন।

গুরু ভিন্ন এই ধরাধামে
নাইরে কিছুই আর,
ভক্ত মনে বদ্ধমূল
এই ধারণাই সার।

সদগুরু প্রদত্ত মন্ত্রে জেনো
শক্তি অপার,
কেবল সেই মন্ত্র জপে হবে
ভব নদী পার।

কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে
যে পারে রইতে,
গুরুর পরম ভক্ত বলে
হবে তারে কইতে।

ভালোবাসার দোলা চালে
যাচ্ছি ভেসে ভেসে,
সময় খারাপ হলে কাঁদি, নইলে
রই হেসে হেসে।

লাগাম টেনে ধরতে হবে
জীবনে চলার কালে,
নইলে নিশ্চিত যাবে ভেসে
সকল আশা জলে।

ভালোবাসাই কাটিয়ে দেয়
ষড়রিপুর বন্ধন,
ক্রমে পঞ্চভুতে মিশে যায়
মুক্তির আলিঙ্গন।

গুরু বিনা এই জগতে
কেই বা আছে আর,
গুরুতে বাঁচি, গুরুতে মরি -
গুরু সারাৎসার।

অনিত্য শরীর নিত্য তোমায়
ধরে আছে বলে,
ভালোকরে তার যত্ন নিও
জীবনের প্রতি পলে।

সুখ এবং শান্তি হল
পদ্মপাতায় জল,
পরমগুরুর চরণখানি
মাথায় করে চল।

কুমোর যেমন গড়ে ঠাকুর
গভীর নিষ্ঠা ভরে
পরমগুরু গড়েন মানুষ
তেমনি যতন করে।

এই যে দূরে থেকেও কাছে পাওয়া
তোমায় মনের মাঝে,
এই প্রেম, এতেই মুক্তি, তাইতো করি
রোজ সকাল - সাঁঝে।

কাছের জনকে শ্রদ্ধা কর
তুমি সর্বক্ষণ,
সকল জীবকে শিবরূপে
কর নিরীক্ষণ।

এসেছ একেলা যাবে একেলা
মাঝের সময় অযথা,
মায়ার পাকে জড়িয়ে নিজেরে
কেন কষ্ট পাও বৃথা?

শুধু নাম করেই এত দয়া
মেলে এ ভুবনে,
পরম গুরুর চরণ লভে
বুঝবে এ জীবনে।

তোমায় ভেবে দিনের শুরু
হয় যে আমার রোজ,
ভিড়ের মাঝে লুকিয়ে আছো,
একদিন পাবো খোঁজ।

জামাই ষষ্ঠী খুবই মজা
কত খাবার পাতে,
মেয়ে জামাই থাকুক সুখে
হাতটি লয়ে হাতে।

মন এক অশান্ত ঘোড়া,
করতে জব্দ তারে,
নিরন্তর প্রভুনামের স্মরণ
করি নিজ অন্তরে।

পরমগুরুর চরণতলে
কি যে মজা ভাই,
খাই - দাই, ঘুরে বেড়াই
কোনো চিন্তা নাই।

গুরু আমার খেজুরের গাছ
আমি মাটির হাঁড়ি,
চুঁইয়ে চুঁইয়ে যে রস পড়ে
তাইতে হাঁড়ি ভরি।

গুরুর কৃপা রবির কিরণ
ভেদাভেদ নাই,
তবে কেন বকলমা দিব
বলতে পারো ভাই?

শরণাগতি সবার চেয়ে
সহজ রাস্তা ভাই,
গুরুই করাবে সকল কিছু
তোমার ভাবনা নাই।

শরীরের না যত্ন নিয়ে
যেবা করে অবহেলা,
অন্তে তারে কাঁদতে হবে
জীবন শেষের বেলা।

কখনো আড়ি কখনো ভাব,
কখনো খুনসুটি,
এসব নিয়েই দিন ও রাত
এগোয় গুটি গুটি।

মায়ার কূপে ডুবে গিয়েও
কানে আসে ভেসে,
চির নুতন নিত্য সে সুর
রইবে জীবন শেষে।

প্রভুর চরণে এই অধমের
কাতর নিবেদন,
হালটি আমার শক্ত হাতে
ধরে রেখো সর্বক্ষণ।

পরের দুঃখ দেখে চোখের
জল ঝরবে যবে,
মানবজীবন সেদিন ধরায়
চির সার্থক হবে।

ভালোবাসার রসে সিক্ত
বীজ মন্ত্রখানি,
সেই টানেতে চলেছে তরী
এই মাত্র জানি।

জীবন নদে ওঠে কত
বড় বড় ঢেউ,
প্রভুর কৃপায় সবই তরায়
জানে না তো কেউ।

নাম বিনে কাম নাই
কয়জনে জানে?
গুরু বিনে বাপ নাই
কয়জনে মানে?

সকল ভাবে সকল সময়
গুরুর নাম করো,
জীবনে সকল কিছু ছেড়ে
গুরুচরণ ধরো।

আকাশে বাতাসে তুমি প্রভু
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে তুমি,
তুমি প্রভু মোর ভুবনময়
তোমার চরণ চুমি।

কাজের চাপে শরীরটাকে
কোরো না অবহেলা,
নইলে জীবন তোমার কাটবে যেন
রোদনে দুইটি বেলা।

গুরুর কথা ভাবি যখন
আঁখি ভরে জলে,
ধূলামুঠি সোনা বানান
তিনি প্রতি পলে।

সবার সাথে মিলে ঝুলে
কাটিয়ে দিলাম জীবন,
অন্তিমকালে যেন শুধু
মেলে গুরুচরণ।

প্রভুর করুণা অহরহ
ঝরছে আমার পাতে,
ফুটা আমার মন কলসি
কিছুই রয়না তাতে।

নিজের ছেড়ে পরের কথা
ভাববে বন্ধু যবে,
আত্মোপলব্ধির পথে তোমার
চলা শুরু হবে।

সকল ভাবনা জলে ফেলে
করো গুরুনাম,
তখন গুরু করবে তোমার চিন্তা
পুরাবে মনস্কাম।

গুরু বড় কাছের মানুষ,
আমার গোপন ধন,
আমাদের প্রাণের কথা
জানে না তো মন।

নিজের বুকে গুরু ধরে
কালিচরণ রয়,
লজ্জা-ঘৃণার সাথে তাহার
ঘুচে গেছে ভয়।

ঘুরে ফিরে সকল কাজে
স্মরি তোমার নাম,
তুমি থাকো সাথে, তোমায়
শতকোটি প্রণাম।

সবার মাঝে গুরু দেখে
পূজা করে যাই,
দিনাবসানে সেই শ্রীচরণে
ঠাঁই যেন পাই।

স্বার্থ মুক্ত ভালোবাসা
আছে জগৎ জুড়ে,
প্রভুর নামে তাতেই ভাসি
আপন অন্তঃপুরে।

সারাটা দিন বন্ধু তোমার
কাটুক ভালো করে,
দূরে থেকেও কাছের মিত্র
এই প্রার্থনা করে।

প্রভুর দয়ায় আছি বেঁচে
যেমন রাখেন তিনি,
সকল কাজে তাঁকে স্মরে
তাঁহার কৃপা কিনি।

দিনে রাতে সকল সময়
প্রভুর নাম করি,
সকল কিছু ছেড়ে শুধু
প্রভুর চরণ ধরি।

সবার কাছে মনের ভিতর
গুরু বসত করে,
তেনার মন্ত্রে তাঁকে পুজি
যখন মনে পড়ে।

আপন ইচ্ছা জলে ফেলে
গুরুর ইচ্ছেয় চলা,
করতে হলে বেজায় কঠিন,
সহজ মুখে বলা।

ভালো সময়, খারাপ সময়
চাকার মত ঘোরে,
এসব ভুলে মগ্ন থেকো
গুরু চরণ ধরে।

গলাতে মোর দড়ি বেঁধে
যাচ্ছে টেনে নিয়ে,
মাঝে সাঝে লাঠিপেটা
খাচ্ছি রয়ে সয়ে।

পরমগুরুর চরণতলে
পরামুক্তির দ্বার,
বীজমন্ত্র তাহার চাবি
জপ অনিবার।

নিত্য আর অনিত্য দুয়েই
টানাপোড়েন করে,
কালীচরণের প্রার্থনা একটিই -
অনিত্য যেন সরে।

তোমার দোহাই দিই আমি'
আমার সকল কাজে,
ভালো - মন্দ দুইই নাও -
আমি ন্যাংটা জগৎমাঝে।

আপন চেয়ে বেশি আপন
গুরু যখন হবে,
ত্রিতাপ জ্বালা তখন সকল
আপনি ঝরে যাবে।

প্রভুর আমার অসীম দয়া
আজ তাহার বলে,
অনিত্য জিনিস ধরায় জ্বালা
দুচোখ ভরে জলে।

সবার লাগি কাঁদে পরান
নিত্য জ্বালা তার,
তারই মাঝে মধুর মিলন
ঘোচায় মনের ভার।

বৈঠা বেয়ে চালাও তুমি
আমার জীবন তরী,
তোমার চরণ মাথায় ধরে
গলা ছেড়ে গান করি।

সকল কাজের মাঝে যেন
তোমার ছোঁয়া পাই,
সকল কিছু ভুলে যেন
তোমার চরণ চাই।

ভালোবাসা ছড়িয়ে আছে
বিশ্ব ভুবনে জুড়ে,
সেই রসেতেই নিত্যস্নান
করি অন্তঃপুরে।

তোমার আমি, আমার তুমি
এই কথাটাই সার,
ভালোবাসাই হালকা করে
মনের সকল ভার।

কর্ম করো যোগীর বেশে
দীক্ষা ত্যাগ ধর্মে,
এটিই জীবনের পরম সত্য
জেনে রেখো মর্মে।

আজ আমাদের চড়ুইভাতি
বড্ড মজা তাই,
সকাল থেকেই মনের সুখে
গান গেয়ে যাই।

দিনটা হোক শুভ তোমার
শরীর থাকুক ভালো,
সকল আঁধার ঘুচিয়ে মনে
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালো।

ভোরের বেলা তোমার পরশ
বড়ই মধুর লাগে,
বিশ্বভুবন জুড়ে মনে
ভালোবাসা জাগে।

গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু
গুরু দেব মহেশ্বর,
গুরু ভিন্ন জগৎ শূন্য
গুরু বিশ্ব চরাচর।

এক হাতে গুরুচরণ ধরে
কর্ম করে যাও,
গুরুর মত হৃদয়বান হতে
অন্তর থেকে চাও।

তোমার আমার প্রাণের খেলা
হয়ে চলে সারা বেলা,
মুগ্ধতা আর পবিত্রতায়
ভরে ওঠে ভবের মেলা।

কর্ম করো দুহাত ভরে
আশা ব্যতিরেকে,
দিবা রাত্র নাম স্মরণ
রাখবে তোমায় সুখে।

গুরুর কোলে বসে বসে
চলেছি অনেক দূর,
সকল ক্লেশ জুড়িয়ে দেবে -
শোনাবে নতুন সুর।

গুরুতে বাঁচি গুরুতে মরি
গুরুর গান গাই,
গুরু ভিন্ন জগৎ শূন্য - (সর্বত্র)
গুরু দেখি তাই।

কত খেলাই খেলায় গুরু
দেখি শুধু চেয়ে,
জীবন আমার ধন্য ভবে
গুরুচরণ পেয়ে।

কর্ম করো জীবনভর
প্রভুর পানে চেয়ে,
কর্মের ফল দিবেন তিনি
তাঁহার দুহাত দিয়ে।

তুমিই আমার প্রাণের পাখি
সকল ধনের ধন,
তোমার লাগি সদা ব্যাকুল
আমার অবুঝ মন।

ভালো সময়, খারাপ সময়,
চাকার মত ঘোরে,
এসব কিছুর বাইরে এস
শুধু গুরু নাম করে।

শান্ত মনে ধীর পায়ে
গুরুর পথে চল,
মনে মনে তুমি কেবল
গুরুর নাম বল।

কবে অহং যাবে জলে
সদাই বসে ভাবি,
গুরু বলেন জপেই আছে
সকল দোরের চাবি।

মনের গভীরে সুপ্ত থাকা
প্রেমের ফল্গুধারা,
প্রভুর ছোঁয়ায় বহে নিরন্তর -
আনন্দ পাগলপারা।

দিল্লি থেকে ব্যাঙ্গালোর
চলে এলাম উড়ে,
ফের আবার দিল্লি যাবো
NH-48 ধরে।

অনেকদিন পরে আবার
দাদুর দেখা মিলে,
চেটে পুটে আদর করে
নাতি ভরিয়ে দিলে।

সকাল থেকেই হুড়ুম তারুম
বাক্স-প্যাঁটরা বাঁধা,
খালি পেটেই নাচন কোঁদন
প্রেমের সুরে সাধা।

পরিবার সাথে সড়ক পথে
ব্যাঙ্গালোর থেকে দিল্লি,
চারটি দিন ও তিনটি রাতে -
ধকল খুবই বুঝলি!

প্রভুর চরণ মাথায় নিয়ে
রওনা দেব আজ,
তোমরা সবাই থেকো সাথে
ভালোবাসাই কাজ।

বছরের এই প্রথম দিনে
প্রণাম জানাই তোমায়,
জীবন তোমার উঠুক ভরি
ভালোবাসা ও ক্ষমায়।

তোমার আমার এই যে বাঁধন
বিধাতারই প্রেম,
দিনটি কাটুক রসে বসে, এই
যাচ্‌ঞা রেখে গেলেম।

গুরু আমার, গুরু তোমার,
গুরু সবাকার,
সদ গুরু আর ভগবান
সব একাকার।

সংসার ঘাড়ে এদিক সেদিক
ঘোরা বড় দায়,
শুধু গুরুর কৃপায় জীর্ণ তরী
পার পেয়ে যায়।

প্রভুর নাম স্মরণ করে
শুরু হোক কাম,
দিনের মধ্যে সুযোগ পেলেই
জপ সেই নাম।

মায়ের কৃপার নাইরে সীমা
অসীম, অপার -
ভক্ত শুধু চোখের জলেই করে
ভবনদী পার।

কর্তব্য ও ভাঙা কোমর
টানাটানি করে,
এরই মধ্যে কাটছে দিবস
প্রভু নাম স্মরে।

স্বদেশ ছেড়ে বিদেশ যাবো
রাত্রি তৃতীয় প্রহর,
মনটা হয়ে আছে ভারী
বুঝলে বন্ধু প্রবর।

যাত্রা পথে আছি বসে
আদিস আবাবায়
চেষ্টা করি যদি শুভেচ্ছা
সকলকে জানানো যায়।

দিনের শেষে ঘুমের দেশে
যাওয়ার আগে ভাই,
একটিবার গুরুদত্ত বীজমন্ত্র
জপ করা চাই।

তোমার আমার প্রেমের টানে
ভাসি সারাক্ষণ,
সত্য, সুন্দর ভালোবাসায় ক্রমে
লুপ্ত হয় মন।

দিবা রাত্রি অঝোর ধারায়
বৃষ্টি ঝরে যায়,
অফিস যাওয়া, কাপড় শুকানো
সত্যি ভীষণ দায়।

জ্ঞানে অজ্ঞানে করো
প্রভু দত্ত নাম,
জীবনে মনুষ্যের এই
একটিমাত্র কাম।

গুরু মন্ত্রের কি যে মধু
জানতে হলে মন,
অহোরাত্র, চলতে ফিরতে
জপ সর্বক্ষণ।

তোমাদের এই ভালোবাসায়
বেঁচে থাকি আমি,
পরিবর্তে ভালো কামনা করি
জানেন অন্তর্যামী।

মাতৃভাষা, মাতৃভূমি
গ্রাম বাংলার টান,
উদাস করে যখন তখন
ব্যথায় ভরে প্রাণ।

দিনের শুরু হয় গো আমার
ভেবে তোমার কথা,
যেভাবেই থাকো, সুখে থেকো
বন্ধু যথা তথা।

বন্ধু তোমার ভালোবাসার
কি দিব প্রতিদান,
প্রভুর সুরে প্রভুর কথায়
শুনায়ে যাই গান।

প্রখর দহন কালে
শুন দিয়া মন,
নুন জল পান কোরো
তুমি সর্বক্ষণ।

অহং বড় বিষম ব্যাপার
সব আপদের মূল,
প্রভুর নামে কবে যাবে
ভেবে হই আকুল।

তোমার আমার ভালোবাসার
অন্তরালের সুর,
চিরন্তনী সে যে বাজে সদা
মন করে মেদুর।

জীবন নদীর চলার পথে
ঝড় তুফান ভারী,
গুরুর হাতে বৈঠা দিয়ে
গলা ছেড়ে গান ধরি।

প্রাণের মানুষ
প্রাণে ধরে
বাস করি
সকল ঘরে।

ষড়রিপুর পারে যেতে
শোন রে ভোলা মন,
সকাল সন্ধ্যে গুরু মন্ত্র
জপ অনুক্ষণ।

একেলা এসেছ একেলা যাবে,
তবু মায়ার ঘেরে,
প্রেম, প্রীতি, লোভ, লালসা বন্ধনে
কেন জড়াও আপনারে?

একেলা কোথায় কবে ভবে
ছিলি রে ভোলা মন,
পরম পিতা সংগোপনে
পাশে আছে অনুক্ষণ।

মনের গভীরে সুপ্ত থাকা
প্রেমের ফল্গুধারা,
প্রভুর ছোঁয়ায় বহে নিরন্তর -
আনন্দ পাগলপারা।

দিল্লি থেকে ব্যাঙ্গালোর
চলে এলাম উড়ে,
ফের আবার দিল্লি যাবো
NH-48 ধরে।

অনেকদিন পরে আবার
দাদুর দেখা মিলে,
চেটে পুটে আদর করে
নাতি ভরিয়ে দিলে।

সকাল থেকেই হুড়ুম তারুম
বাক্স-প্যাঁটরা বাঁধা,
খালি পেটেই নাচন কোঁদন
প্রেমের সুরে সাধা।

পরিবার সাথে সড়ক পথে
ব্যাঙ্গালোর থেকে দিল্লি,
চারটি দিন ও তিনটি রাতে -
ধকল খুবই বুঝলি!

প্রভুর চরণ মাথায় নিয়ে
রওনা দেব আজ,
তোমরা সবাই থেকো সাথে
ভালোবাসাই কাজ।

বছরের এই প্রথম দিনে
প্রণাম জানাই তোমায়,
জীবন তোমার উঠুক ভরি
ভালোবাসা ও ক্ষমায়।

তোমার আমার এই যে বাঁধন
বিধাতারই প্রেম,
দিনটি কাটুক রসে বসে, এই
যাচ্‌ঞা রেখে গেলেম।

গুরু আমার, গুরু তোমার,
গুরু সবাকার,
সদ গুরু আর ভগবান
সব একাকার।

সংসার ঘাড়ে এদিক সেদিক
ঘোরা বড় দায়,
শুধু গুরুর কৃপায় জীর্ণ তরী
পার পেয়ে যায়।

প্রভুর নাম স্মরণ করে
শুরু হোক কাম,
দিনের মধ্যে সুযোগ পেলেই
জপ সেই নাম।

মায়ের কৃপার নাইরে সীমা
অসীম, অপার -
ভক্ত শুধু চোখের জলেই করে
ভবনদী পার।

কর্তব্য ও ভাঙা কোমর
টানাটানি করে,
এরই মধ্যে কাটছে দিবস
প্রভু নাম স্মরে।

স্বদেশ ছেড়ে বিদেশ যাবো
রাত্রি তৃতীয় প্রহর,
মনটা হয়ে আছে ভারী
বুঝলে বন্ধু প্রবর।

যাত্রা পথে আছি বসে
আদিস আবাবায়
চেষ্টা করি যদি শুভেচ্ছা
সকলকে জানানো যায়।

দিনের শেষে ঘুমের দেশে
যাওয়ার আগে ভাই,
একটিবার গুরুদত্ত বীজমন্ত্র
জপ করা চাই।

তোমার আমার প্রেমের টানে
ভাসি সারাক্ষণ,
সত্য, সুন্দর ভালোবাসায় ক্রমে
লুপ্ত হয় মন।

দিবা রাত্রি অঝোর ধারায়
বৃষ্টি ঝরে যায়,
অফিস যাওয়া, কাপড় শুকানো
সত্যি ভীষণ দায়।

জ্ঞানে অজ্ঞানে করো
প্রভু দত্ত নাম,
জীবনে মনুষ্যের এই
একটিমাত্র কাম।

গুরু মন্ত্রের কি যে মধু
জানতে হলে মন,
অহোরাত্র, চলতে ফিরতে
জপ সর্বক্ষণ।

তোমাদের এই ভালোবাসায়
বেঁচে থাকি আমি,
পরিবর্তে ভালো কামনা করি
জানেন অন্তর্যামী।

মাতৃভাষা, মাতৃভূমি
গ্রাম বাংলার টান,
উদাস করে যখন তখন
ব্যথায় ভরে প্রাণ।

দিনের শুরু হয় গো আমার
ভেবে তোমার কথা,
যেভাবেই থাকো, সুখে থেকো
বন্ধু যথা তথা।

বন্ধু তোমার ভালোবাসার
কি দিব প্রতিদান,
প্রভুর সুরে প্রভুর কথায়
শুনায়ে যাই গান।

প্রখর দহন কালে
শুন দিয়া মন,
নুন জল পান কোরো
তুমি সর্বক্ষণ।

অহং বড় বিষম ব্যাপার
সব আপদের মূল,
প্রভুর নামে কবে যাবে
ভেবে হই আকুল।

তোমার আমার ভালোবাসার
অন্তরালের সুর,
চিরন্তনী সে যে বাজে সদা
মন করে মেদুর।

জীবন নদীর চলার পথে
ঝড় তুফান ভারী,
গুরুর হাতে বৈঠা দিয়ে
গলা ছেড়ে গান ধরি।

প্রাণের মানুষ
প্রাণে ধরে
বাস করি
সকল ঘরে।

ষড়রিপুর পারে যেতে
শোন রে ভোলা মন,
সকাল সন্ধ্যে গুরু মন্ত্র
জপ অনুক্ষণ।

একেলা এসেছ একেলা যাবে,
তবু মায়ার ঘেরে,
প্রেম, প্রীতি, লোভ, লালসা বন্ধনে
কেন জড়াও আপনারে?

একেলা কোথায় কবে ভবে
ছিলি রে ভোলা মন,
পরম পিতা সংগোপনে
পাশে আছে অনুক্ষণ।

কত চিন্তা আসে ছুটে
ঘিরিতে চায় মোরে,
গুরু মন্ত্র জপে সকল
দিই যে দূর করে।

কর্ম যজ্ঞে পড়ে আছি
গুরুচরণ ধরে,
তিনিই কর্তা, আমি শুধু
যাই নাম করে।

চারিধারে যা সব ঘটে
বুকে বড় বাজে,
মনের কষ্ট মনে পুরে
মন দিতে হয় কাজে।

স্বাধীনতার এতকাল পরেও
পায়ে মোদের বেড়ি,
জনজাগরণে এস মোরা
সেই শৃঙ্খল ছিঁড়ি।

অন্য দেশে আছি কিন্তু
মন পড়ে বাংলায়,
প্রতিবাদে সামিল আজ
বাঙালি দুনিয়ায়।

শুক্কুরবার রেতের বেলা
জলের মধ্যে পড়ে,
শনিবার সকালবেলা
উঠেছি দেরী করে।

আসুক বন্যা ভাসুক রাজ্য
প্রতিবাদের নদী,
তলিয়ে যাক স্বৈরাচারী
মহারাণীর গদি।

দল মত নির্বিশেষে
প্রতিবাদের বাণী,
ঘুচিয়ে কালিমা, নতুন প্রভাত
বরণ করিবে আনি।

"বিচার চাই" দাবি আজ
আকাশ-বাতাস ভরে,
কন্ঠ রোধের বৃথা প্রয়াস
তবু প্রশাসন করে।

জনতা মমতা মুখোমুখি
হবে কদিন পরে,
সেদিনটার প্রতীক্ষা আজ
সকল বাঙালি করে।

দুর্নীতির জালে রাজ্যটাকে
ধ্বংস করলে যে,
আজ ক্ষিপ্ত জনতার ত্রাসে
পার পাবে কি সে??

আদালতে বিচার নাই,
সি বি আই ওড়ায় ছাই,
সঠিক বিচার করুক শেষে -
সাতাশ তারিখ জনতাই।

সাতাশ তারিখ আসছে বান
ছেলে মেয়ে সবাই যান,
প্রতিবাদে দুর্নীতির প্রাসাদ
ভেঙে হোক খান খান।

আত্মগর্বে উন্মত্ত হয়ে
জনগণে করে হেলা,
অলক্ষ্যে বিধি হাসেন কেবল
চলতে থাকে খেলা।

জন্মাষ্টমীর পুণ্য লগ্নে
এস শপথ গড়ি,
নবজন্ম হোক বাংলার
হাতে হাত ধরি।

সহমর্মিতা দিয়ে আজ
শঙ্খধ্বনি করি,
প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হোক
জনতার হাত ধরি।

শাসক যখন ভয়ে কাঁপে
জনগণের রোষে -
জানবে সময় এল গড়ি যাওয়ার
তাঁরই নিজের দোষে।

আমজনতার প্রতিবাদ
সমুদ্দুরের ঢেউ,
বাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে নেবে
রইবে না আর কেউ।

যুদ্ধ ভয়ে ভীত হয়ে
সেনাপতি বাবু,
খাটের তলায় পড়েন ঢুকে
হয়ে বেজায় কাবু।

লক্ষ মানুষ, একটি ডাক
মক্ষীরানি নিপাত যাক l

শ্যূন্যগর্ভ আস্ফালন,
মিথ্যা যত বুলি,
জনগণের চোখে আর
কত পরাবে ঠুলি?

অগ্নিকন্যার বিষাগ্নি বাংলা
করেছে ছারখার,
প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আজ
ভীষন দরকার।

যারা বলছে, "বিচার চাই"
তারাই করুক বিচার,
শাস্তিবিধান করে হোক
নির্মূল ভ্রষ্টাচার।

করের টাকায় পুষছি মোরা
দুষ্কৃতীদের দল,
তাদের মা গঙ্গায় ভাসিয়ে দেব -
চলরে সবাই চল।

দুর্গাপুজোর আগেই নিধন
করো অসুর যত,
পুজোর দিন হোক নির্মল
ঠিক সে আগের মত।

ফুলের ঘায়ে মূর্ছা গেল
কলিকাতার পুলিশ,
লৌহ প্রাচীর গড়ে তুলে
বনে গেল ফুলিশ।

অহিংস আন্দোলনের রূপ
দেখল সবাই আজ,
মুখোশ পরা দুষ্কৃতীদের
মাথায় পড়ুক বাজ।

মানব বন্ধন গড়ি এস
হাতটি লয়ে হাতে,
বিদ্যুৎ বাতি নিভিয়ে শুধু
মোমবাতি লয়ে সাথে।

চন্দ্রচূড় পয়সা খেয়ে
খেলছে মানুষের আবেগ নিয়ে
শেষে বিচার ও ফয়সালা
করবে মানুষ দেখবি চেয়ে।

ইচ্ছাশক্তি মহা বল
একত্রীভূত হলে,
জন্ম হয় রেনেসাঁর
ইতিহাস বলে।

ধর্মের কল বাতাস লেগে
নড়বে কবে আর?
রাত-বিরেতে রাস্তা-ঘাটে
একটাই চিৎকার।

বিশ্ব বাংলা
দিচ্ছে ডাক -
থ্রেট কালচার
নিপাত যাক।

পুজো আসছে, মনটা তবু
হয়ে আছে ভারী,
মায়ের বন্দনায় শপথ নেব -
পুজবো সকল নারী।

ডাইনি মুক্ত বাংলা গড়ার
অঙ্গীকার নিয়ে,
সবাই মিলে চল নবান্ন
রাজপথ দিয়ে।

রাত জাগা মানুষের
বুকে জমা কান্না,
চায় সুবিচার শুধু -
আপনি কি চান না?

খোলা মনে বদ্ধ ঘরে
কথা হবে সোজাসুজি,
সেই কথা লাইভ হলেই
গায়ে ফোস্কা পড়ে বুঝি?

লাশ বেচে দুশো কোটি,
গরু বেচে হাজার -
আর শিক্ষা, খাদ্য, স্বাস্থ্য বেচে
(করলে) রাজ্যটাকেই সাবাড়!

নাটক করে লোক ঠকানো
চলবে কত আর?
চটির ওপর চটির বাড়ি
জনগণের মার।

হাতে হাতে হাতটি ধরে সবাই
পথে এস ভাই,
স্বাধীনতা লাভের পরেও মোরা
স্বাধীন হতে চাই।

পাঁচের পিঠে চার এসে
ঘাড়ে চেপে বসে,
মনটা আমার একের পাশে
সাতেই থাকুক বসে।

বলি এক, আর করি আরেক -
নিজেকেই শুধু চিনি,
এসব দেখে মুচকি হাসেন
বিধাতা পুরুষ যিনি।

কর্মস্থলে আমরা যেন
সুস্থ বাতাবরণ পাই,
এস সবাই সোচ্চারে বলি -
"বদলি নয় বদল চাই"।

যাদের সেবা করার জন্য
ধর্না তুললে আজ,
তারা সদাই থাকবে সাথে
ভুলে সকল লাজ।

উর্দিপরা গুণ্ডা নিয়ে করছ
রাজ্যটাকে শাসন,
সেই গুণ্ডার দল ক্ষেপে গেলে
কি করবে তখন??