শোনো শোনো বলি শোনো
জেরী বাবুর গল্প,
শান্ত শিষ্ট নয় সে মোটেই,
দুষ্টু অল্প স্বল্প।
ডাকবে যখন, "এই জেরী",
"জেরী সোনা' বলে,
দুইখানি কান নাচিয়ে নাচিয়ে
দৌড়ে আসবে চলে।
লেজটি নিজের পছন্দ নয়
এক্কেবারে মোটে,
কামড়াতে চায়, আঁচড়াতে চায়
ঘুরে ঘুরে ছোটে।
বাথরুমের মগ, মায়ের চটি,
রান্নাঘরের ন্যাতা,
এরাই উৎকৃষ্ট খাবার বটে,
বাকি ব্যাঙের ছাতা।
এদের একটি যদি জেরী
মুখে একবার নেয়,
পিছনে ছুটে মর হাঁফিয়ে -
ধরতে পারাই দায়।
নইলে জেরী চাঁদের কণা,
কটা হলুদ চোখে,
জুলজুলিয়ে তাকিয়ে রবে
অতি করুণ মুখে।
"আমি কিছুই জানিনা মা
কিছুই করিনি যে,
ওই মৌমাছিটাই তখন থেকে
জ্বালায় আমায় নিজে।
ওকে ধরতে গিয়েই শেষে
ফুলদানিটা গেল,
আমায় দিলে জুতোর বাড়ি
দোষীটা পার পেল।"
দরজার ধার, টেবিলের নীচ,
নয়কো সোফার পাশ,
মায়ের খাটের তলায় শোয়া
সবার বড় আশ।
কেউ জানেনা জেরীর আছে
ডানলোপিলোর গদি,
আনন্দে আটখানা হবে
পেতে দাও যদি।
তোমার মত সুহৃদ তখন
খুঁজে মেলা ভার,
এই কথাটাই জিলটু চেটে
বলবে বারংবার।
অনেক হল, বলা আমার
জেরী সোনার গাথা,
কিছু গভীর, কিছু নিবিড়
ভালোবাসার কথা।।