মুঠো ফোনের দেহাবসানে
শব্দবন্ধ ভুলে,
বন্ধুদের নিকট হতে
দূরে গেনু চলে।
দুহিতার কাছে এসে
ওটিপির গুণে,
হারানিধি ফিরে পেনু
তৃপ্ত হনু মনে।
প্রায় দুটি মাস পরে
তোমাদের কাছে পেয়ে,
শুভকামনা জানাই আজি
মন - প্রাণ দিয়ে।
বড়দিনের প্রাক্কালে
মনের সকল আশা,
সান্তাক্লজ করুক পূরণ
দিয়ে ভালোবাসা।।

বড়দিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা
জানাই দুহাত ভরে,
আগামী বছর সুখে - শান্তিতে
কাটুক ভালো করে।

তোমার আমার প্রাণের টান -
এই ভালোবাসা -
আকাশ, বাতাস, জগৎ জুড়ে
একটিমাত্র ভাষা।

তোমরা সবাই ভালো থেকো
এইটুকুনিই চাই,
মন খারাপে সুহৃদ তোমায়
পাশে যেন পাই।

ভালোবাসায় ভরা ভুবন
প্রাণে দেয় দোলা,
সবার সাথে ঐকতানে
একসাথে পথ চলা।

তিনকাল যাওয়ার সময় এল
তবু কেন ভাবি -
মনকে চিরশান্ত করার
পেলাম না তো চাবি।

পরম চাষা চালায় লাঙল
আমার শুষ্ক বুকে,
মানব জমিন হবে উর্বর
ফলবে ফসল সুখে।

আজকে সূর্য ঢলে গেলেই
একটি বছর শেষ,
নতুন বছর আসবে ভেবেই
ভালো লাগছে বেশ।

নতুন সনের প্রথম দিনে
এই প্রার্থনা করি,
ফুলে ফলে আগামী বছর
উঠুক যেন ভরি।

বন্ধু সদা ভালো থাকো
এই কামনা করি,
সুখ, সমৃদ্ধি, ভালোবাসায়
জীবন তব উঠুক ভরি।

ভালো কাটুক নতুন বছর,
সকল দুঃখ যাক চলে,
মনে জাগুক নতুন আশা
সব ব্যাথা, গ্লানি ভুলে।

সবার সাথে মিলে মিশে
জীবন কাটুক ভাই,
দুঃখ ভুলে হেসে খেলে
চলে যেতে চাই।

চাওয়া পাওয়া ভিন্ন এই
তোমার আমার টান -
এই প্রকৃত ভালোবাসা -
জীবন পথের গান।

সকাল বেলার মিষ্টি রোদ
মন ভরিয়ে দেয়,
হালকা মিঠে ঠান্ডা বাতাস
প্রাণ জুড়িয়ে দেয়।

বন্ধু খুব ভালো থাকো
সারাটা দিন জুড়ে,
ভালোবাসার উজান বাতাস
সদা মনে ওড়ে।

ভোরের আলোর সাথে প্রাণে
বন্ধু যে দেয় ডাক,
ভালো থেকে, সুখে থেকে
দিনটা কেটে যাক।

সারা দিনের কাজের চাপে
সময় পেলাম নাকো,
শুভরাত্রি বলার আগে, বলি -
"বন্ধু ভালো থেকো।"

সবাই ভালো থেকো সদা
এই কামনা করি,
ঈশের করুণায় তোমার
জীবন উঠুক ভরি।

কাজের ভিড়ে মনের ফাঁকে
বন্ধুরা দেয় উঁকি -
হটাৎ করে দখিনা বাতাস
যেন করে মোরে সুখী।

ভালোবাসায় ভরা ভুবন
ছন্দে, তালে, সুরে -
অহর্নিশি জপি সে সুর
মনের অন্তঃপুরে।

সকাল বেলায় সবার আগে
তোমার মুখের হাসি,
সত্যি বলছি বড্ড আমি
দেখতে ভালোবাসি।

নানা রঙে ভালোবাসা
ছড়িয়ে চারিধারে,
যত্ন করে ভরে তাদের
সাজাই মনের ঘরে।

বন্ধুত্বই পরম প্রাপ্তি
এ মানব জীবনে,
শান্তি বারির পরশ আনে
রুক্ষ, শুষ্ক প্রাণে।

তুমি আমার প্রাণের মানুষ
ভালোবাসার জন,
তোমায় আমায় মিলে ভরা
এই ত্রিভুবন।

সুখের পরে দুঃখ আসে,
দুঃখের পর সুখ,
সকল সময় নাম জপে
জুড়ায় আমার বুক।

বন্ধু বলি, বন্ধু ডাকি
বন্ধু ভাবি যারে,
সুখে - দুখে, ভালো - মন্দে
পাশে পাবো তারে।

তুমি আমার বন্ধু সুজন
ভালোবাসার জন,
তোমার আমার জুড়ে থাকা
রইবে অনুক্ষণ।

সকালে উঠিয়া আমি
মনে মনে বলি,
সারাদিন ভালোবাসা
মেখে যেন চলি।

মনে আসন পেতে বসে
সুজন অন্তঃপুরে,
দুজনে গান গেয়ে চলি
নিত্য নতুন সুরে।

রবিবার ছুটির দিনে
ভারী মজা ভাই,
মাথার উপর ছড়ি ঘোরানোর
কেউ কোথাও নাই।

আজ রামের পোয়া বারো
অযোধ্যায় স্থাপন,
মনের মধ্যে করবো কবে -
রাম নাম বপন?

রাম বসলেন অযোধ্যায়
পুড়ল কত বাজি,
এবার তবে বিজেপি কে
ভোটটা দিতে রাজি??

জনগণ নায়ক তুমি
সকল চিত্ত মাঝে,
জন্মদিনে তোমায় স্মরে
উদ্বুদ্ধ হই কাজে।

শঙ্কা করিতে দূর
জপ সেই সুর -
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে তোমায়
কোন সে অচিনপুর।

ভালোবাসার টানে সকল
বিশ্ব ভুবন বাঁধা,
কোনো ভেদাভেদ নাইকো সেথা
শুনে লাগে ধাঁধা।

দেশের কথা, দশের কথা
ভেবো একটিবার,
প্রজাতন্ত্র দিবস আজ -
দিনটি যে প্রজার।

মানবজীবন হল একটি
শিক্ষা লাভের ক্লাস,
মহৎ আদর্শ ধরে তুমি
দিয়ে যাও পাস।

ভালোবাসায় ভরা ভুবন
সকল কিছু মিলে,
মিশে থাকো সেই আনন্দে
মনের কপাট খুলে।

ভালো থেকো বন্ধু মোর
সারা দিনের তরে,
জীবন তোমার ধন্য হউক
ভালোবাসায় ভরে।

ভোরে রবির প্রথম কিরণ
ছড়ায় ভালোবাসা,
তার সাথেই একাত্ম হতে
মোদের ভবে আসা।

জীবন পথে সকল সময়
মানিয়ে চলতে হয়,
স্মরণে রাখিও শ্রী মার বচন,
"যে সয় সে রয়"।

মনের ইচ্ছা দমন করে
সময়ের সাথে চল,
নিরন্তর জপ গুরুদত্ত নাম,
জয় করুণাময় বল।

নিজের সাথে নিজের আলাপ
করবে মাঝে মাঝে,
দিয়ে দোর ঘরের ভিতর
বসবে যোগীর সাজে।

সারাদিনের ভিতর এই
অল্প কিছু পলে,
তোমার সাথে জুড়ে আমার
সকল বেদনা গলে।

সারাজীবন কর্ম কর
গুরুচরণ ধরে,
বৈতরণী এই ভাবেই
যাবে পার করে।

তোমার মধ্যে থেকে যিনি
ধরে আছেন ভুবন,
কর্মের মধ্যে ফাঁক পেলেই
বন্দিও তাঁহার চরণ।

মায়ার টানে বাঁধা মোরা,
সংসার অসার,
মায়াধীশের করুণা বলে
খোলে রুদ্ধ দ্বার।

ভালোবাসা মায়ার নেশা
শরীর, মনের ক্ষুধা -
এসব ছেড়ে বহুদূরে
বহে অমৃত সুধা।

এই যে রোজ সকালবেলায়
ডাকো তুমি মোরে,
সেই আবেশে ডুবে থাকি
সারাটা দিন ধরে।

সংযম পাথেয় করে
চলে যে জীবনে,
তার মত সদানন্দে
কেউ নাই ভুবনে।

বন্ধু তুমি ভালোবেসে
চিরদিন পাশে থেকো,
আমরা গড়বো নতুন ভুবন -
প্রেমে ভরা, তুমি দেখো!

ভালোবাসার দিনে
মনের মানুষ চিনে,
হারিয়ে যাই যদি -
হয়ে যাবো নদী।

বন্ধু তুমি প্রিয় আমার
মনের বড়ই আপন,
ঘুম ভেঙে তাই হাতটি বাড়াই
আমি যখন তখন।

ভালো থেকো তোমরা সবাই,
এইটুকুনিই চাই,
সকল সময় সুজন তোমায়
কাছে যেন পাই।

শুভ কামনা দিয়ে তুমি
ধন্য করো মোরে,
মাথার হাত বুলায়ে যেন
অন্তর স্নিগ্ধ করে।

ভালোবাসা ছাড়া আর
আছে কি?
সেই পিরিতির ছোঁয়া মোরা
পাবো কি?

মাতৃভূমির পথে আবার
চললুম দেশের টানে,
আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব
মিলবো তাদের সনে।

বন্ধু তুমি ভালো থেকো
সারা দিনের তরে,
অবসরে গুরুদত্ত মন্ত্রখানি
জপো মনে করে।

গুরুর খাই গুরুর পরি
গুরুর গান গাই,
গুরু আমার গুরু তোমার
গুরুচরণ চাই।

মন করো গুরু নাম
অহোরাত্র স্মরণ,
এই একটি কর্মের
নিমিত্ত এই জীবন।

কামনা করি ভালো কাটুক
সারাটা দিন ভোর,
সুখে - দুখে থেকো অবিচল
এই প্রার্থনা মোর।

কুয়াশা মোড়া ভোরে চলেছি
রুমটেকের পথে,
বন্ধু - স্বজন তোমরা সবাই
থেকো কিন্তু সাথে।

নির্জনে, নিশীথে, শীতে
পড়ছে তোমায় মনে,
বন্ধু সদা ভালো থেকো -
তুমি প্রতিদিনে।

ঠান্ডা চাদর গায়ে দিয়ে
বসে আছি আজ,
ঘুরে বেড়াই এদিক - সেদিক
নাই যে কোনো কাজ।

প্রভুর দয়ায় ঘুরতে এসে
লাগছে ভালো বেশ,
প্রভুর নামেই দিনের শুরু
প্রভুর নামেই শেষ।

প্রভুর চরণ মাথায় নিয়ে
ঘুরি নানান দেশে,
নানাবিধ মানুষের মাঝে
রই ভালোবেসে।

পাখির ডাকে ভাঙে ঘুম
সূয্যি ওঠা ভোরে,
বন্ধু তুমি ভালো থেকো
প্রার্থনা করজোড়ে।

কদিন ঘুরে আজকে আবার
ফিরে যাবো ঘরে,
বেশ ভালো কাটলো সময় -
এখন মনটা কেমন করে।

খুশির শহর কলকাতা
বেড়িয়ে এলাম ফিরে,
ঘরের ছেলে অবশেষে
ফিরলো নিজের ঘরে।

কর্মসূত্রে যাচ্ছি চলে
সুদূর আফ্রিকা দেশে,
কিন্তু আমি রইবো সদাই
বন্ধু তোমার পাশে।

কর্মস্থলে পৌঁছলাম শেষে
বাধা বিঘ্ন ঠেলে,
বড্ড ক্লান্ত হয়েছিলাম
তাই প্রত্যুত্তরে ডিলে।

তুমি আমার প্রাণের সখা
তুমি আমার হরি,
তোমার আমার ভালোবাসার
পায়েতে গড় করি।

জীবন পথে চলার সময়
পরীক্ষা দিতে হয়,
গুরু নামের জপের গুণে
তার অন্ত হয়।

দিন আসে দিন যায়
ভাবি বসে তাই,
উদ্দেশ্য ভুলে আমি শুধুই
গান গেয়ে যাই।

বন্ধু তোমার ভালোবাসায়
ভরিয়ে দিলে মোরে,
তোমার এ ঋণ বলো আমি
শুধবো কি করে?

বন্ধু তুমি ভালো থেকো -
এই প্রার্থনা করে,
সারাদিনের সকল কাজে
মন দিই ভরে।

তোমার ভালবাসাই বন্ধু
আমার পরম ধন,
সারাদিন তাই খুশিতে ভরে
আমার প্রাণ - মন।

সারা দিনের কাজের ফাঁকে
তোমায় স্মরণ করে
মনে জোগায় আশা, উদ্যম,
আনন্দে প্রাণ ভরে।

কাল ছিল 'নারী দিবস',
বলি শোনো ভাই,
অন্তরেতে নারী-পুরুষ
কোনো প্রভেদ নাই।

সুখ গুরুচরণ এ কেবল
আর কোথাও নাই,
প্রভুর চরণ মাথায় নিয়ে
তরী বেয়ে যাই।

অকাজ - সুকাজ যাই করো
সারাদিনের তরে,
মনটা তোমার আঁকড়ে রেখো
গুরুচরণ ধরে।

ভালোবাসা ভূবনময়
ছড়িয়ে দশ দিশায় -
তারই নাম ভগবান
তোমায় - আমায় মেলায়।

শরীর উন্নতির সোপান
যত্ন নিও তার,
তাইতো সকাল - সন্ধ্যে হাঁটি
আর দিই সাঁতার।

কর্ম কর যোগীর বেশে
ভৃত্য রূপে সেবা,
গুরুচরণ বক্ষে তোমার
মত ভাগ্যবান কেবা?

গুরু কৃপা অহরহ
ঝরে অঝোরধারায়,
কাজের মাঝে সে পরশে
মনটা কোথা হারায়।


মনটা হয়ে প্রজাপতি
যায় পরীদের দেশে,
ভালোবাসায় মজে সেথা
হারিয়ে গেল শেষে।

ভালোবাসা মায়ার নেশা -
যশ, মন, ধন, নারী,
ঘুচিয়ে তারে দেখাও মোরে
সর্বভূতেই হরি।

তুমি আমার প্রিয় ওগো
বড়ই আপনজন,
একটি তারেই বাঁধা আছে
তোমার - আমার মন।

বন্ধু তুমি ভালো থেকো,
অন্তর থেকে চাই,
তোমার নিঃস্বার্থ প্রেমের আমি
পরশ যেন পাই।

নিজের মনের সাথে যুদ্ধে
জয়ী হতে চাও,
রণে, বনে, ঘরের কোণে
জপ করে যাও।

ত্যাগ, উদারতা, সংযম -
তিনটি বড় গুণ,
চর্চা করলে যায় অহং
ভেঙে যায় ঘুম।

"ভালোবাসা রাজার রাজা
নয় কি ভুবনে",
সেই রাজার চরণে প্রণাম
জানাই সর্ব ক্ষণে।

হাতে হাতটি দিয়ে মোরা
গড়বো নতুন দেশ,
ভালোবাসা মাখা পবনে
অসীম সুরের রেশ।

ভালোবাসার রঙে মাখা
আজকের এই দিন,
মনকে সবার মনের রঙে
রঙিন করে নিন।

দোলের দিনে সবার মন
আনন্দেতে দোলে,
ভালোবাসার রঙে রেঙে
সকল ব্যাথা ভোলে।

ভালোবাসা ঝরে পড়ে
আনাচে - কানাচে,
বৃথা তারে খুঁজে মরি
শরীরের খাঁজে - খাঁজে।

সদগুরুর দর্শনলাভ
বহু জন্মের পুণ্য,
সেই চরণে সমর্পণ -
ধন্য তুমি ধন্য।

গুরুর নয়ন - গভীর, গহন
নাই যে তাহার তল,
সেই অতলে ডুব দিবি কবে -
বল রে ও মন বল।

গুরুর কথা এলে স্মরণ,
জলে ভরে দুইটি নয়ন,
বিনা কারণে,
মনটা হটাৎ হয়ে উদাস
ভেসে বেড়ায় সুনীল আকাশ
কোন স্বপনে?

ভোরে উঠে সর্বপ্রথম
তোমার মুখের হাসি,
প্রিয় আমার সত্যি বড্ড
দেখতে ভালোবাসি।

দিনটি তোমার ভালো কাটুক
এইটুকুনি চাই,
প্রভুর চরণ বক্ষে ধরে
প্রেমের গান গাই।

সময় বড় মূল্যবান
যেবা করে হেলা,
ঘুরে আবার আসতে হবে
পুরনো বোঝার ঠেলা।  

রবিবারের মজা ভারী
সকল কাজের ছুটি,
সারাটাদিন নেচে কুঁদে
করি লুটোপুটি।

বন্ধু তোমার হাতটি ধরে
পাশে থাকতে চাই,
জনম জনম তোমার মত
বন্ধু যেন পাই।

গুরু প্রদত্ত বীজমন্ত্রখানি
বড় শক্তিশালী,
সকাল সন্ধ্যা যখন পারবে -
জপ করে যাও খালি।

তোমার - আমার ভালোবাসা -
এই তো ভগবান,
তোমার সাথে জুড়ে থাকা
বিশ্বপ্রেমের টান।

ইন্দ্রিয়াতীত সত্য তুমি
অবাঙমানসগোচরং
তোমার সাথে মিশলেই সব
জলবৎ তরলং।

গুরুর নাম মাথায় নিয়ে
করো সংসার,
হেসে খেলে ঠিকই হবে
বৈতরণী পার।

সকাল সকাল দেশে ফিরে
মনটা লাগে ভালো,
প্রভুর নাম ঘুচিয়ে দেয়
অজ্ঞানতার কালো।

জীবন পথে চলার কালে
হিল্লি - দিল্লি করি,
প্রত্যুষে নয়ন মেলে শুধু
গুরুকে মাথায় ধরি।

নিজের রাশ নিজের হাতে
না ধরলে পরে
পিছিয়ে পড়বে তুমি বৃথা
সময় নস্ট করে।