তোমার লেখা ছাড়ছে মনে গভীর ক্ষতের ছাপ।
তোমার লেখা কাটছে যে দাগ, আমার নিম্নচাপ।
তোমার লেখা সঙ্গী আমার দুঃখ হোক বা সুখে।
তোমার লেখা চরছে দেখো আমার এই মুখে।
তোমার লেখা ভাবাচ্ছে খুব, ভাবছি সাথে তোমায়...
বাঁচিয়ে দেবে তোমার লেখা পক্ষাঘাত আর কোমায়।

তোমার লেখায় আলসেমি দিন কর্ম মুখর করে–
তোমার লেখায় আমার এ মন হৃদয় প্রদীপ ধরে।
তোমায় নিয়ে লিখতে বসে দিন পার হয় রাতে...
তোমার লেখায় চলছে জীবন ডাল পোস্ত ভাতে।
তোমার লেখা সিংহাসন আর বাঁশরির মধুর সুর;
তোমার লেখায় পৌঁছায় চিঠি, অনেক অনেক দূর।

তোমার লেখা যত্ন নিয়েছে বিগত কতক দিনে;
তোমায় নিয়ে লিখলে পরে মানুষ আমারে চিনে!
তোমার লেখা খরা দিনে বন্যা হয়ে জন্মায়:
তোমার লেখা মরুভূমিতে ক্যাকটাস হয়ে ধর্নায়!
তোমার লেখায় রাজনীতি নেই সবাই সমান সমান;
তোমার লেখায় খুন জখম প্রেমের পায় মান।

বেইমান হয়ে ভুলতে বসেছে যারা তোমার লেখা...
স্বপ্নে আমি তাদের এখনো পাইনি কেন দেখা?
কোটি কোটি ক্রোশ হেঁটে চলেছি তোমার লেখার খোঁজে!
কঠিন পাওয়া সে মানুষ, যে তোমার লেখা বোঝে।
তোমার গানে মুগ্ধ ভুবন নৃত্যে মত্ত সকল কোণ।
তোমার লেখায় মন মজে যায়, পাঠ করি যখন তখন।

তোমার লেখা লিখতে বসে কবি নজরুল ইসলাম।
তোমার লেখায় গান বেঁধেছে: রবি ঠাকুর তার নাম।
তোমার লেখায় নাট্যকারে নাটক রচনা করেন...
তোমার লেখায় ঔপন্যাসিক সব কষ্ট তুলে ধরেন...
তোমার লেখা জগৎ জুড়ে। তুমি সবের রচয়িতা।
তুমি ছাড়া সবই বিফল। তুমি বিনা সবই বৃথা।