ইচ্ছে করে প্রেমের কবিতা লিখি একঘেঁয়ে,
“তুমি ছাড়া মনের প্রিয় কে আছে এর চেয়ে?”,
“তোমার জন্য থাকি জেগে দিবানিশি ভোর...”
“আঁখি তোমার মায়ায় ভরা শক্ত বাহুডোর!”

কিন্তু হঠাৎ বাজছে কানে সে রাতের আর্তনাদ:
চিল চিৎকার আর কত হিংস্র স্বরের আস্বাদ।
তারই কলরবে চাপা পড়ে যায় এই প্রেমের স্বর!
প্রেমের আর্জি জানাই কীভাবে? সইবে না কি তর?

উৎসবে মাতবো সবাই, প্রতীক্ষা করি তার...
কাত্যায়নীর দশভূজা রূপে অসুর নিধন হোক!
শক্তির রূপ শক্তিহীন রূপে অবহেলা করে পার?
নিধন সুরের সানাই বাজে, গ্লানির বধ হোক।

বিদ্রোহে, মিছিলে, জমায়েতে বাঁধি সুর...
সুরের তরে মূর্ছনা যাক, সুর পৌঁছাক বহুদূর।
তোমার আমার প্রেম কাহিনী শাশ্বত হবে তবে
যখন, হৃদয় জুড়ে সকল নারী মাতৃরূপী রবে।

চুড়ি পরেও সকল নারী কর্মঠ-শক্তিরূপা!
তির্যক হাসি হাসতে থাকা অসুর যত সব...
তাদের জন্য কাত্যায়নের একটি কথার শাপ–
সেই অভিশাপ হলাহল হয়ে করুক কলরব।

বিষের পারদ গলায় ধরে আসুক শিব ধরায়।
কালরূপে কলির জঞ্জাল সব সাফ করুক তাই!
আবার প্রেমের মোহময়ে বাঁধবো তুমি আমি।
প্রেমের কথা বলব দুজন, প্রেমী হবো দুজনায়।