গানে তাকে খুঁজতে চেয়েছি অনেকবার...
সুরে সুরে যেন তাঁর নেশা লেগে আছে।
প্রতিটা সরগমে যেন ওঠানামা করে তার ভাব!
কোমল গান্ধার হোক বা নিষাদ
সবেতেই যেন তাঁর উপরি উপস্থিতি লেগে আছে।
গানের কথায় কথায় তাঁর আসা যাওয়া
খুবই স্পষ্ট উপলব্ধি করা যায়।
শুধু গান কেন?
নাচের মুদ্রাতেও তাঁর চলন দেখতে পাই।
পাখোয়াজী তালে তালে তাঁর নৃত্য হয়।
যেন রুদ্র নীলকণ্ঠ নাচে তাঁর নাচের সঙ্গে!
চোখের মণি সরণ বা ভ্রূকুটির ওঠানামা
ঠোঁটের মৃদু হাসি বা তালুর সুদর্শন আশীষ
তাঁরে বিনা যেন খাঁ খাঁ করে ওঠে হৃদি খানি।
আঁকার সময় রঙতুলির সাথে,
কবিতায় আবেগ হয়ে কবির ভাষায়,
কিংবা কবির আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নরূপ হয়ে,
বা নাটকের উচ্চহাস্যে খলনায়কের গলায়,
অথবা রূপসী নায়িকার অভিনয়ে;
শিল্পের এহেন কোনো জায়গা আছে?
যেখানে তাঁকে রবীন্দ্রনাথের মতো
অবলোকন করা যায় না।
বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, উড়ে, অলচিকি বা কামরূপী
বা কোনো অজানা ভাষায়, শিশুর রোদনে,
নারীর অভিমানে, পৃথিবীর ভূমিকম্পে,
কিংবা মেঘমল্লারের সুমধুর বরষনে...
মানুষের, প্রকৃতির সবের শিল্পের মাঝে দেখি তাঁরে।
তাঁরই রঙে হৃদপদ্ম রাঙা হয়ে ওঠে!
হেরি সেই কৃষ্ণ, করুণাসিন্ধু, দীনবন্ধু রূপ
সর্বলোকের জ্যোতির্ময়ে!
নমি তাঁরে শিল্পের মাঝে বারেবারে, বারেবারে॥