মনে পড়ে মহাভারত? সেই দ্বিতীয় দ্যুত ক্রীড়া–
বস্ত্রহরণ এর পর সেথায় কী বা ঘটেছিল...
কী কী সহেছিল পাঞ্চালী? পাণ্ডবের কী পীড়া;
কেন যুদ্ধের জন্য শান্তিপ্রিয় তারা চটেছিল?
ভয় পেয়েছে দুঃশাসন, বলি দেখলো বুঝি বাপে!
ক্লান্ত হয়ে, নতুন করে দ্যুত তাই তো সাজে।
যুধিষ্ঠিরও বসলো এসে আর হারলো ধাপে ধাপে।
বিচার হবে মহাযুদ্ধে তাই রণদুন্দুভি বাজে।
দয়া যে পেয়ে থাকে, দয়া দিতে তার মন চায়।
দয়া করার চেষ্টায় নিজেরটুকুও তার যায়।
শুরু করে সে আবার সেই নিজের সাথেই লড়াই।
নিজেই হয় ক্ষয়, মাটিতে মিলায়ে যায়।
প্রাণ দিয়েছে কর্ণ সমাজে পরিবর্তনের অছিলায়...
ভীষ্ম, দ্রোণ, দ্রুপদ, অভিমন্যু। কে নেই?
যুদ্ধ থেমে শান্তি এলো। বদল তখনই হলো ভাই,
সরোবরের তীরে দূর্যোধন মরলো যেই।
তাই ভারত, মনে করো তোমার কৃতিত্ব। মহাভারত!
তোমার রাজনীতি, সমাজনীতি, ন্যায়, অন্যায়!
ভেঙে দাও ধর্মযুদ্ধে নারী অপমানের সব আড়ৎ...
পুরাণ শিক্ষা পুরান নয়। হল চির অব্যয়॥