কবি তার কাঙ্ক্ষিত নারীকে কখনোই পায়না।
সে শুধু কল্পনায় তার পুজো করতে থাকে।
তার সৌন্দর্য, ভাব, প্রেম, রূপ, লাবণ্য, ইত্যাদি...
শুধু পাওয়ার বেলায় আর পেয়ে ওঠা হয়না।
প্রতিটা প্রেমের কবিতায় সেই নারীকে খুঁজে ফেরে!

কবির চাহিদায় আছে নারীর নারীত্বের অনন্যা রূপ!
তার মধ্যে থাকবে বিদ্রোহের নেশা,
তার মধ্যে আছে প্রতিবাদী মুখ,
রইবে এক সোচ্চার গায়িকী...
ভরপুর হবে অভিনয় সত্তা!
নেতৃত্ব? সেটা আর বলার কী?
কত বড় বড় নেত্রী এই ধরায় এসেছেন...
তার প্রতীকী হিসেবে আকাঙ্ক্ষা জন্মায়!
কবি তার কাঙ্ক্ষিত নারীকে পায়না তাই।

শিল্পসত্তা নিয়ে কত স্বপ্ন জন্মায় কবির মনে...
অতুলনীয় হবে আঁকার হাত
নাচের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি কত কী!
কিন্তু দ্রৌপদীকেও বর নেওয়ার সময়
পাঁচজন বর কে পেতে হয়েছিল জীবনে!
একের মধ্যে এত আকাঙ্ক্ষা কী করে মেটায়?
কবি তার কাঙ্ক্ষিত নারীকে পায়না তাই।

হয়তো বা মিটত...
একজন তো আছেনই জনসমক্ষে!
সবেরই গুণাগুণ রয়েছে যাঁর মধ্যে
কিন্তু তাকেও পাওয়া দুঃসাধ্য প্রায়!
কবি তার কাঙ্ক্ষিত নারীকে পায়না তাই।