বৃষ্টি হলো ঝমঝম করে, শ্রাবণের বাজলো গান!
কোথাও পড়ে না একটু খানি, কোথাও অবিরাম!

মেঘের বিদ্যুৎ হারিয়ে গেল, মেঘের মাঝেই হাওয়া!
ধাঁধার মতোই জটিল সেসব, বালিতে নৌকা বাওয়া।

ভুরি ভুরি সব তক্তপোশে, তবুও আরও চায়...
যার আছে, সেই তো আবার, সবার আগে পায়।

দশক শতক পার হয়ে যায়, বদল হলো কই?
রাজনীতি করে মন্ত্রী সান্ত্রী, রাজা উড়ায় খই।

ভাঁড়ের চ্যালা, ইটের ঢ্যালা, প্রধান মোড়ল বুড়ো...
পড়লো কাদায়, জগাই-মাধাই, মাসি, মেসো, খুড়ো।

দুধে দাঁতে বিষের ধারা, কণ্ঠে গরল নেই...
বাঁধন ছাড়া এঁড়ে বাছুর লাফায় প্রতিক্ষণে।

মমতাময়ী মায়ের মতো, কাছে ডাকেন রাণী...
মেঘের কোলে হাসবে রোদ? আমরা কতটা জানি?

কোন মাটিতে ক ফোঁটা জল? প্রকৃতি হিসেব কষে...
সোনার ফলন ফলবে বুকে সোনার খাদান চষে!

মুক্তি পেতে বাষ্পসকল, বাঁধলো দলা ধুলোর সনে...
কালো মেঘ ঘনিয়ে এলো। বর্ষা আসবে পর ক্ষণে?

রবিবারে খাসি কষা, পাতে পান্তার অভাব...
খিচুড়ি দিয়ে ভুখ মেটানো আমাদেরই স্বভাব।

বিস্বাদ লাগে খাদ্যসকল, বিষাদ দশমীর...
নিরসনে যাবে তপন, নিয়তি এ ধরণীর॥