বলতে চে’য়েও হয়নি বলা যেসব কথা,
কলম ধরে লিখতে বসে আমি তাই...
সংযোজনে রাখছি জেনো মনের ব্যথা,
হঠাৎ করেই উঠলো মনে এমন বাই।
অভয়দাত্রী অভয় যদি দ্যান, বলবো–
চুপ থাকা বড্ড কষ্টকর আমার জন্য!
প্রতিবাদী ভাষায় কলম বলে চলবো...
মাটি রে মাটি বলেই আমি হই ধন্য।
দুঃখের কবি। দুঃখ করি। আমি দুঃখী।
বিদুর মতো লাগছে আপনে কাঙাল...
লড়াই ছেড়ে লড়তে খেলার মুখী
এক হয়েছে আজকে ঘটি বাঙাল।
সময় পেরোয়। পাপ চাপা একটু দুষ্কর।
আধুনিকতার ছোঁয়া নেইকো এই মনে...
গৃহবন্দী খাঁচাবন্দী পদ্ম পুকুরের পুষ্প!
লোহার গারদ ভাঙার কথা পদ্মপুরাণে।
পুরাণ খোলো। পুরাণ কিন্তু পুরান নয়।
শক্তির কথা লিখছে কবি, পায়নি ভয়।
গঙ্গা, মন্দোদরীর থেকে কুন্তির তনয়...
জানে কী বিষ নারীর অযাচিত প্রণয়।
“পুত্রং দেহী” বলে অঞ্জলি দি শক্তিপদে!
পুত হতে ত্রাণ করতে আসো শক্তিস্বরূপা!
ভয়ের কী বা? তুমি অভয়া, তুমি বরদে।
দেখিয়ে দাও নারকীদের নরক সোপান।
অনেক চুপেছি। হয়তো থাকবো আরো।
কাঁদতে থাকা মায়ের পাশে হয়তো নেই।
থাকবো কেন?
তুমি নিজেই নিজের রক্ষা করতে পারো।
আছি চামুণ্ডার জন্যই এ রাজপথ চে’য়ে॥