ঋণ একটি অভিশাপ ঋণ একটি পাপ
ঋণের ফাঁদে যে পড়েছে তারি সর্বনাশ।
ঋণ করলে ঋণী হয় ধ্যানে বসলে ঋষি
ঋণী কভু ঋষি হয়না জানে জগতবাসী।

ঋণীর মুখে সত্যকথা সে তো অবান্তর
কুফর কাজে লিপ্ত সে চলছে নিরন্তর।
লোভ হলো ঋণের যম বুঝে না তা ঋণী
সে মানে ঋণই সুখ ঋণ হলো খনি।

ঋণ করে ঘি খাওয়া ঋণী লোকের স্বভাব
সেজন্য এ শ্রেণির যায়না কভু অভাব।
ঋণী লোকের অনেক ধরন আছে ধরণীতে
ঋণ করে কেউ সুখে নেই সুন্দর পৃথিবীতে।

ঋণ হলো পঁচা শামুক কাটলে শুকায়না পা
পরিশোধে জনম যায় খেসারত দেয় ছা।
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট ঋণের আতুর ঘর
একজনমে না শোধিলে চাপে প্রজন্মের 'পর।

ঋণী জীবন দাসের জীবন থাকেনা সেথায় সুখ
চিরকাল ধরে তারি মাঝে বিরাজ করে দুখ।
অর্থ ঋণই নয় শুধু ঋণ জন্মই হলো ঋণ
সে ঋণ থেকে মুক্ত হতে ছুটছি প্রতিদিন।

গীবত পরচর্চা পরনিন্দা এসবও যে ঋণ
বুঝে না বুঝে বারো মাসে করছি নিত্যদিন।
পরকে বোকা করে যতই নিচ্ছি মজার বশে
আপন অজান্তেই আপন ক্ষতিতে পড়ছি ধসে।

পরের থেকে যত ছোটই হোক নিলে উপকার
ঋণী হলাম তার কাছেও শোধিত হবে বারবার।
শহীদ হলে বিনা হিসেবে জান্নাত জানে সর্বজনে
ঋণ থাকলে তারো ক্ষমা নেই শোধিত হবে ক্ষণে।

ঋণী না হয়েও বিশ্বনবী চাইতেন সর্বদা ক্ষমা
তাঁরই উম্মত কেমনে বলো ঋণ করে রাখে জমা?
স্রষ্টা ক্ষমা করবেন তাই যা তাঁর এখতিয়ারে
ঋণের ক্ষমা স্রষ্টা করবেনা দিবে তাঁর বান্দারে।

তবে কিছু ঋণ শোধ হবার নয় থাকি চিরঋণী  
পিতামাতা ও অসহায় কালে পাশে ছিলেন যিনি।
শিক্ষাগুরু আত্মিক গুরু তাদের কাছেও ঋণী
অনুসরণে কমিবে কিছু না হলে বাড়িবে বহুগুণে।

হাজার ঋণের পাহাড় নিয়ে করছে যারা বড়াই
বলিব আমি মোহে আছে তারা বোধশক্তি নাই
দিন শেষে থাকেনা কিছুই এটা বুঝতে পেলে
ঋণের দায়ে ধরা খেয়ে কাটাত না কেউ জেলে।

জন্ম তব নয় ঋণী হবার করিবে কর্মগুণে ঋণী
জ্ঞানীগুণি হয়ে সেবাদানে তুমি হয়ে উঠবে ধনী।
জাতিকে ঋণী করতে পারিলে তব ঋণ হবে শোধ
শান্তি পাবে দো-জাহানে না থাকিবে ক্ষোভ।

জনম নিয়ে ঋণী হলেও কর্ম দিয়ে শোধ
ঋণী করে চলে গেলে বাড়ে তৃপ্তি বোধ।