আজ আমি বড়ই একা –
সত্যিই – আমরা সকলে কি একা ?
চিতার আগুনে ভেসে এল এই বাণী ;
কারা যেন প্রহসন করে আমার জীবনখানি ।
সেই কবে গ্রীষ্মের দুপুরের রোদে
লুকিয়ে মার্বেল খেলতাম যার সাথে –
একদিন কোথায় সে চলে গেল একা ।
যে ছেলেটির সাথে স্কুলে বন্ধুত্ব ছিল,
ছিল হৃদয়ের টান,
ঈর্ষাণ্বিত হয়ে সেও একদিন
আমায় ফেলে গেল একা ।
যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম –
করেছিলাম আজীবন একসাথে চলার অঙ্গীকার,
যার বন্ধনে স্বর্ণশৃঙ্খল পরে ভেবেছিলাম –
আমরা দুজন অভিন্ন – অর্ধনারীশ্বর ;
সেও ফাঁকি দিয়ে অজানায় মিশে গেল একা ।
প্রথমবার দাদা দিয়েছিল একটা,
দ্বিতীয়বার দিয়েছিল বাবা
কিন্তু তৃতীয়বার আর হোল না ;
আমার প্রিয়বন্ধু
কিডনির অভাবে চলে গেল একা ।
আমার সুখে দুখে জ্বালা যন্ত্রণায়
যে আমাকে হাত ধরে নিয়ে গেছে
আমার ভগ্নমস্তিকে বাঁচার প্রেরণা জুগিয়েছে,
মৃত্যু যাতনায় শুধু খুঁজেছে – আমি কোথায় ?
ওতো জানে না –
আমিও আধারে বসে আছি একা ।
ভাবি –
এতকাল করেছি শুধু আত্মসম্মহন
কখনো সন্তান, কখনো বন্ধু, কখনো স্বামী –
আবার কখনো হাতে নিয়েছি
নানারঙের ধ্বজা ।
শুধু রয়ের গেল
বিচিত্র শিক্ষা –অভিজ্ঞতা ;
যা নিতান্তই আমার –
একান্তই আমার ;
বাকি যা কিছু –
যেন দুদিনের অভিনয় !
তবুও শেষ পর্যন্ত ছুটছি
একা
অজানা জীবন খুঁজতে ;
হয়তো একই লক্ষ্যে
অজানাপথে
আবিষ্কার করতে নিজেকে ।