আমাদের বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে
আজ আমার নিমন্ত্রণ সময় সন্ধ্যা আট'টা।"
আমার গার্লফ্রেন্ড দেখা করবে বলে,
আমন্ত্রণ করেছে তাদের নিজ বাড়িতে..
সম্পর্ক হওয়ার পর আজকে দুইজনার দ্বীতিয় দেখা।
আমার হাতে আমাদের পুকুর পাড়ের কদম গাছের কতগুলো কদম ফুল।
মিশুর চকলেট খুব প্রিয়
ফাস্টফুডের দোকান থেকে মিশুর প্রিয়
কিছু চকলেট কিনলাম।
ভয় ও অভয়ের সংমিশ্রণে পৌঁছে গেলাম
মিশুদের বাড়ির গেইটে।
গেইটের দরজায় দুইজন প্রহরী মিশু আর তার ছোট বোন সেতু আমার উপস্থিতি পেয়ে দু'বোন দুই হাত ধরে
আমার ঘরের ভিতরে নিয়ে যায়।
লোডশেডিং কারণে আমি গরমে ঘামতে ছিলাম।
বারান্দায় বসার জন্য চেয়ার এনে দিল মিশু
পাখা দিয়ে বাতাস দিচ্ছে এক হাতে
অন্য হাতে মাথার চুল গুলো টানছে
ছোট ছোট কথা হচ্ছে আমাদের মাঝে
মিশু আমার প্রশংসায় মত্ত্ব।
তোমার চুল গুলো অনেক সুন্দর,
কথা গুলো ভারী মিষ্টি ইত্যাদি অনেক প্রশংসা।
দু'জনের কথার ফাঁকে
মিশুর মা রাজিয়া খাতুন আসলো
উনার সাথে মতো বিনিময় করে
বিদায় নিয়ে উঠলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে
মিশু আর আমি একে অন্যের হাত ধরে
ঘর থেকে বাহিরে বেরিয়ে আসলাম।
আমি পকেট থেকে চকোলেট বাহির করে
মিশুর হাতে দিতেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো
বলল_আই লাভ ইউ। "
রাজিয়া খাতুন দরজা দাঁড়িয়ে বাই বাই দিচ্ছে টা-টা।"
পিছনে থেকে মহা বিপদ সংকেত দিচ্ছে সেতু
"ধরলো" দুলাভাই।