সেদিন ছিল অমাবস্যার রাত!
প্রিয়নী আমার কাছাকাছি বসা।
প্রিয়নী কে বললাম_তুমি কি আমাকে ভালোবাসতে পারোনা। প্রিয়নী হেসে  দিয়ে উত্তর দিল আমি তো তোমাকে ভালোবাসি । তুমি কি রোজ আমাকে তোমার কন্ঠটা একবার করে শুনাবে আর সকাল বিকাল আমার মেসেঞ্জারে বলবে_ভালবাসি তোমাকে?
প্রিয়নী মাথা নাড়িয়ে সমৃদ্ধি দিল, বলবো।
প্রিয়নী তুমি কি_"এখন আমার হাত দুটি ধরবে।"
প্রিয়নী বলল,- দাওনা ধরি।
প্রিয়নী যখন কৃষ্ণ অঙ্গে আমার হাত দুটি ধরলো।
আমিও প্রিয়নীর হাত দুটি শক্ত করে ধরলাম।
প্রিয়নীর হাতে আমি এক শুল্ক আলো খোঁজে পেলাম।
সে আলোতে আমি অমাবস্যার রাতে হাথার জংলায় অন্ধকারে চোখ বন্ধ করে হাঁটতে আরম্ভ করলাম।
হাঁটতে হাঁটতে আমার পা দুটো ফুলে গেলো।
শরীরটা ক্লান্ত হলো।
পড়নের কাপড় গুলো ভিজে ঘাম বের হল।
তারপর আমার মনটা ভরে গেলো,
প্রশান্তি আর ভালোবাসায়।
একবার মনে হলনা আমি ক্লান্ত।
আমার শরীর ভেজা ঘামে।
হঠাৎ করে আমার চোখে গান্ধী পড়ল।
আমি মিটমিটিয়ে  চোখ দুটি খুললাম।
চোখ খোলে আমার ভিত্তি প্রস্থর বিশ্বস্ত
তোমার হাত দুটি আর পেলাম না।
আমি দাঁড়িয়ে গেলাম।
আবছা ইন্দারায় দেখি  বিশাল গরল সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে আছি আমি একা।
যে দিকে চোখ যায় লোনা পানি আর পানি।
আমি ভয়ে ছোট্ট ছেলে/মেয়ের মত চিৎকার করে,
কান্তে কান্তে তোমাকে ডাকতে লাগলাম।
কোথায় প্রিয়নী! তুমি কোথায়।
শত ডাকাডাকি করেও তোমার হাত দুটি পেলাম না।

এখানে খুব গরম। চারদিকে মশা।
এখানে মাথা নাড়িয়ে মুচকি হেঁসে
আমার সাথে কেউ কথা বলোনা।
এখানে মেসেঞ্জারে সকাল বিকাল ভালবাসি কেউ বলোনা। এখানে তোমার পছন্দের পিংক কালারের
ওড়না পেচিয়ে চোখ থেকে কেউ গান্ধী বাহির করেনা।
এখানে অসুস্থ হলে জড়িয়ে ধরে সাহস জুগিয়ে কেউ বলেনা আমি তো আছি।
শরীরে মশা খেলে কেউ কয়েল ধরিয়ে দেয়না ।


জানো প্রিয়নী ! এখানে আমি ঘুমাতে পারিনা।
সমুদ্রের গর্জনে আতঙ্কে থাকি,
শরীরে কামড় দেয় মশাই।
এখানে আমি কিছু খেতে পারিনা।
আমার ইক্ষুনের জলে খাবার গুলো সিক্ত।
আমি এখানে কিছু স্পর্শ করতে পারিনা।
অদৃশ্য জলে হয়ে যায় বাস্প।

প্রিয়নী ! ভালোবাসতে তো চেয়েছিলাম তোমাকে।
বিশ্বাস তো করে ছিলাম তোমার কৃষ্ণাঙ্গের শুল্ক হাতকে।
প্রিয়নী! তাহলে তুমি আজ কোথায় ?
অমাবস্যার রাতে। গান্ধী পড়া চোখে আমাকে গরল
সমুদ্রের তীরে ফেলে দিয়ে।
তোমার ভিত্তি প্রস্তর বিশ্বস্ত হাত দুটো গুটিয়ে নিয়ে।
আমার স্বপ্নগুলো পতিতালয় পাপিষ্ট মত হত্যা করে।

আজ আমি এক জিন্দা মরা লাশ।
মনে রাখবে ! এই জিন্দা মরা লাশটি সত্যিই একদিন  ইন্দারায় ডুকে যাবে! সেদিন শত চেষ্টা করেও এই আমাকে খুঁজে তুমি পাবেনা।
সেদিন হয়তো আমার শ্বেত কাফনের কাপড়ের গন্ধে তোমার দম আটকে যাবার অবস্থা হবে ।
আমি হয়তো তোমার হতে পারলাম না।
আর কোন কালে কোন সময় তোমার হতে চাইবো না। আমাকে তুমি মাপ করে দিও ।
আবার নতুন কারো সাথে জুটি করো প্রিয়নী।
যে তোমাকে ডিজিটাল যুগে এসে
ডাকযোগে কাগজে চিঠি  লিখে পাঠাবে।
যে শরীরে চামড়া কেটে বুকে তোমার নাম লিখিবে