প্রতিদিন  নিজেকে  অনেক  উপহার  করি!
কখনো বই  কখনো  আড্ডা,
কখনো জায়নামাজে প্রভুর উপসনায়।
আবার কখনো শিশুদের সাথে মেতে উঠি
হাসি-খুশি হৈ-হুল্লোড়ে।
কখনো  নিজেকে  উপহার  করি  ভ্রমণ
বাস  কিংবা ট্রেনে  যেতে  যেতে
অচেনা পাশের  সীটে  বসে থাকা
সহযাত্রীর সাথে কথোপকথন।
কখনো বা আনমনা হয়ে,
ঘাড় ঘুরিয়ে উপহার করি সবুজ প্রকৃতি।
কখনো বা নিরব নিস্তব্ধ রাতে জেগে উঠি
উপহার করি আকাশের চাঁদ তারার সৌন্দর্য ।
কখনো সমাজের দুঃখ দুর্দশা দেখে চিৎকার দিয়ে উঠি
আর নিজেকে উপহার করি চোখের জল ।
কখনো বা উপহার করি কবি আজাদ সরকার,
মিরাজ আলী ভাইয়ের সাথে সাহিত্য বাক্যালাপ,
তখন থাকেনা বয়সের বাধ্যবাধকতার হিসাব ।
কখনোবা উপহার করি ফকির রফিকুল ইসলাম  ভাইয়ের দরদ ভরা কন্ঠে  দ্বীনের নবীর শানমান।
তখন আমি সুখে ক্রন্দন করি নিজেকে বলি
আমি ভাগ্যবান আমি হয়েছি আখেরি নবীর উম্মত।
কখনো বা উপহার করি  আল মামুন রিটন, রাহুল আচার্য্য রাজু, মাধবী কুন্ডু জেসমিন জাহানার কবিতা।
তখন বুঝি কেউ নয় সাধারণ মানুষের ভিতরে রয়েছে সুপ্ত সুন্দর শুভ্র বেঁচে থাকার প্রতিভা।
কখনো বা অরুণিমা চ্যাটার্জিকে দিদি ডেকে
শান্তি উপহার করি নিজেকে তখন হয়ে যায় ভাই
আদর সোহাগ জড়িয়ে থাকে মমতা।
কখনো বা উপহার করি বন্ধু আলামিনের ঔষধের ফার্মেসীতে রোগিদের কষ্টের আর্তনাদ,
তখন বুঝি সু'স্বাস্থ্য রয়েছে সকল ধনাঢ্য।
কখনোবা আমি জ্ঞানতর্ক উপহার করি
শ্রী সুমনদার সাথে তখন আমি অদৃশ্য সত্ত্বার জ্ঞানে
থাকি পরিপূর্ণ  মনে হয় তর্কে আছে পরিপূরক পূর্ণতা।
যখন আমি হতাশায় ভোগী তখন শাকিলের সাথে কথা বলি ফিরিয়ে আনি  বেঁচে থাকার উপহার আত্মবিশ্বাস ।
কখনো বা উপহার করি নিজেকে  সমাজের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সততার বিপ্লব ।  
কখনো বা সানজুর হাত দুটি ধরে  উপহার করি আমার না বলা অনেক কথা। সেখানে থাকে জুঁই চামেলী রজনীগন্ধা গোলাপ সৌরভের মুগ্ধতা।
কখনো বা নিরক্ষর জ্ঞানের ভান্ডার দরবার মহলে ঢুকে বেসুরো গলায় উপহার করি দ্বীজ দাস ঠাকুর,
রামপ্রসাদ, কফিল শাহ্ সাধু মত মহা সাধকদের বানি।
তখন আমার রিপুগুলো কোথায় যেন হারায়,
আমি  নাচানাচি  করি  বাজনা বাজায়
খোদার জাতে লয়প্রাপ্ত হয়ে পৌঁছে যায় বাকাবিল্লায়।

আমি উপহার সঞ্চালক।
তাই আমি ভেঙ্গে পরিনা
থেমে যায়না কোন মায়াজালে ।
হাজারো কষ্ট আঘাতে হয়না আক্রান্ত।
হয়না পিপাসিত ধুম্র দাম্ভিকতায়।