কেঁদে যায় জরায়ু রক্তাশ্রুতে
যৌবনা বসন্তে ৷
প্লাবিত হবে গতর আর কতকাল
নিষেকেরও জোয়ারে ?
ফুটবে বাধ্য প্রসূন নীরবে
অলিরও তরে ,
শুধুই কি দেখবে বলে মায়া
প্রজন্মান্তরেরও চোখে ?
হামাগুড়ি দিবে সরস বামায়
ধর্মচুক্তিরও বীজানু ,
অর্ধ অস্তিত্বের বিস্ফোরণে দিবে বলে
মঙ্গলেরও চুমো ৷
নামবে প্রভাত শ্বেত তটিনী তীরে
নীলেরও সম্মোহনে ;
যখন ডাকবে কোকিল, লাগবে আগুন
উর্বশী ফাগুনে ৷
নুয়ে পড়বে কি লজ্জাবতী লতা
প্রিয়তমেরও চুম্বনে ?
গুজবে মাথা স্বার্থপর ভবিষ্যৎ
বাৎসল্যেরও উষ্ণ বুকে ৷
ধরে থাকে সম্প্রদানে সোপান সেবাদাসী ,
ছোঁয় আসমান বীরেরও পাণি ৷
দুঃখেরও অনলে পুড়ে-পুড়ে সতী
ছড়ায় পর্ণকুটির সুখ বেসাতী ৷
কেন যে একেছিল ভেনাস সৃষ্টিরও উলকি
পুরাতন প্রস্তরেরও গায় ?
একচোখা খেয়াল যখন অনুভূতির অবগুন্ঠন
শুধু টানে আর খুলায় !
একদা ফুটেছিল যে ড্যাফোডিল শায়িত রমনীর
অন্তিমও নিঃশ্বাসে ;
নেচেছিল সর্প নর্তকী মহুয়া মোদকে
এক প্রাণসঞ্জিবনী উল্লাসে ৷
হায়! জট পাকায় শুধু অবাঞ্চিত পাকুড়
নষ্ট এই নীড়ে !
চাপ দেয় হন্তারক ট্রীগার অবাধ্য করোটিতে
সম্মানেরও পনে ৷
পুড়ে মরে ডাকিনী অগ্নিকুন্ডে
পুন্যেরও বিচারে ৷
ঝাঁপ দেয় হানাদারেরও গনিমত
মৃত্যু সিনজারে ৷
বসনেরও জীপার টানে শ্যাওড়া গাছের ভূত
আলোরও ডরে ,
নজরানা দিবে বলে ইবলিশি পুলক
অবলারও আশ্রমে !
উরেরও দেবী, ভুলে গেছ কি তবে
এনহেডুয়ানার স্ত্তূতি ?
মরদ সম্ভ্রম যখন হিতেপুতশুর থুতনিতে
লাগায় অজাত দাঁড়ি ৷
আর কতকাল নামাবে জ্যোৎস্না পূর্ণিমারও চাঁদ
রাত্রিরও নেকড়ে রোষে ?
ফুটবে কি লিলি আবার গোলাপী ভালবাসায়
নিষ্পেষণেরও পদতলে ?
তবুও স্বপ্ন বোনে কোকুন
ঘোর অমানিশায় ৷
মেলবে ডানা, উড়বে প্রজাপতি
সবুজেরও আশায় ৷
জাগোরে আবার সুঁইয়েরও কন্যা
অগ্নিলোহিতও দ্রোহে ৷
পড়বে কড়া, ঘুরবে চাকা
ঘুমপাড়ানি হাতে ৷