আর্যেরও হাতে যখন প্রার্থনার ঘন্টা
ঈশ্বরের দেশে ,
চাবুক মারে সাত পাহাড়েরও অহম
হাবশির পিঠে ৷
শুনে ভ্রষ্ট পথিক সাইরেনেরও গীতি
তৃতীয় পথে ৷
আঁকে মিথেরও নায়ক অন্ধ কানুন
এক রঙে ৷
তাক করে থাকে জিব্রালটারেরও পঞ্চশর
শ্বেতকপোত বুকে ৷
অস্তিত্ব গিলে খায় অস্তিত্ব বেঘোরে
আত্মপরিচয়েরও তালাশে ৷
উপচে পড়ে ভিসুভিয়াসেরও তপ্ত লাভা
কালোপাতারও বনে ৷
অভিমানে উদর চিরে হারিকিরির তরবারী
নচ্ছাড় ঈগলী আদেশে ৷
খুনে আনুগত্য পরে কালো বসন
মৃত্যুরও সর্বনামে ৷
গোলিয়াথ উপড়ায় মে ফুলের শীকড়
কীর্তিরও নাশে ৷
বিপ্লবী বনে আবাল চারখুরা যেন
গবাদিরও খোয়াড়ে ৷
ঝরে অসভ্যেরও রক্তবিন্দু পবিত্র ক্রুশে
রাঘব সভ্যতারও পুনজন্মে ৷
রাতেরও প্রহর চাটে এয়াজুজ-মাওজুজ
পাপেরও প্রায়শ্চিত্তে ৷
দেখে জেনাসেরও ললাট সোনালীতম ভোর
মারদাঙ্গারও পশ্চাতে ৷
তাকিয়ে রয় মথিত সূর্যমুখী আসমানপানে
বারুদ পোড়া গন্ধে ৷
পয়দা করে যখন ক্রেটাসেরও নিঃশ্বাস
হিংস্র নেকড়ে ,
খুলে যায় ক্রাকানেরও হলুদ চোখ
কৃষ্ণ ভূমধ্যে ৷
ফাঁস পরায় দখলেরও কর্কট দাবি
আটলাস সিংহেরও গলে ৷
লুটে পড়ে রক্তাক্ত গ্রীষ্ম
ভালুক আঁচড়ে ৷
ফুটে পপি ড্রাকুলারও নরকবাগে
রক্তসিঞ্চনে ৷
হিমায়িত মাছ, বুঝতে কি পারিস
ফেরারী জমাট স্বপন ?
ছোবল মেরেছে যখন কাল নাগিনী
যক্ষেরও সব রতন ৷
বসে থাকে নীল কলারেরও বনীআদম
এক টুকরো রুটিরও তরে ৷
দেখিয়ে যায় পুতুল নাচেরও ইতিকথা ,
রায় কাঁটাতারে ৷