জন্মেছিল বলে সিংহাসনেরও ক্ষণভঙ্গুর উত্তরাধিকার
সাতপাহাড়েরও অবৈধ্যে ;
খুবলেছিল অখিল সূচনারও উচ্চাভিলাষ হাপিত্যেশে
অপরিণামদর্শী উপসংহারে ৷
লা- জবাব থাকে মানে অবচেতনেরও ফাঁকা চেতনে
অর্থহীন শব্দেরও তালাশে ;
পিতারও গর্ব টিপে ধরেছিল যখন সহোদরের গলা
নার্সিসাসেরও মোহে !
পেঁতেছিল দেবতা ফুলশয্যা অযাচারে নীলদোয়াবে
কুহেলিকারও ধূসর প্রহসনে ৷
অস্তিত্বেরও অপারগতায় ধাক্কা খায় অবান্তর ব্যাখ্যা
সীমাবদ্ধতারও অভেদ্য প্রাচীরে ৷
ইতিহাসের ফলক উম্মোচন করে কেবল রক্তরেখা
রাজকীয় ফরমানেরও অবশ্যে !
ভিতরে- বাহিরে খাবি খায় শুধু দায়গ্রস্ত বিদ্রুপ
গুরুত্বেরও মেকি আস্ফালনে ৷
সাজিয়েছিল সম্রাজ্ঞী পবিত্র ষাঁড়েরও পূজামন্ডপ
কর্তিত শীরেরও নৈবদ্যে !
ব্রক্ষ্মান্ডে ছাপমারে বিশৃঙ্খলার পক্ষাঘাতী সাড়া
নিস্তব্ধতারও অগোচরে !
গিলে খায় বৃত্তান্ত গন্ডিরও বাহিরে বুভুক্ষু কৃষ্ণবিবর
শিরোনামহীন অবিচলে ৷
মেমফিসেরও তিয়াস মেটায় বাজআঁচড়েরও দুষ্টক্ষত
ইসিসেরও মন্ত্রদোহাইতে !
বাগ্মীতার চাল থামায় উত্তেজনারও পলকা বুদ-বুদ
রেশমীজালরেরও একান্তে ৷
খুঁজে তল তবু অবুঝও অন্তর মানেহীনা অতলে
ফেরারী শূণ্যতারও বেনামে ৷
জীবনেরও বিবৃতি দেয় সিঁদ কাটা চোর অকপটে
কপাটবদ্ধ প্রাসাদে ৷
রঙ্গেরও নটবর আঁকে ভেনাসেরও মুখ নষ্ট অভিসারে
প্রমোদতরীরও নিষিদ্ধ আলিন্দে ৷
হারায় তারারা রাতেরও নিঃসীম গভিরে একে -একে
সময়েরও অস্থির ঘূর্ণিপাকে !
রেখে যায় কবিতারও চুমো চন্দ্র- সূর্যের স্মারক
উর্বশীরও অন্ধ উদরে ৷
হানাদারেরও দায়মুক্তি দেয় কন্টক জখম ভবিষ্যৎ
অভিষিক্ত লালস্যেরও আনুগত্যে !
আর টেনে ধরে দ্বিধা প্ররোচনারও কালকুট হাত
গন্তব্যহীন শেষ পদক্ষেপে ৷
দলত্যাগী যবে টাইবারেরও একরোখা সম্ভ্রম
ফারাওকন্যারও আলিঙ্গনে ;
ঘুরপাক খায় বাতিক খেয়াল মিতিহীন বৃত্তে
শেষ বিন্দুরও পিছে ৷
জুদারও কম্পন করেছিল প্রতারণা হৃত ভূমধ্যে
গোলাপী পালেরও বহরে ৷
পরেছিল মন ফাঁস নিঃশর্তে স্মৃতিরও বিস্মৃতিতে
আদর্শদ্বৈতেরও বিচ্ছেদে !
সাজবে বলে শৃঙ্খলিত জীবন তাচ্ছিল্যেরও ভাঁড়
জয়ৌৎসবেরও কুচকাওয়াজে ,
লিখেছিল সম্মান শেষনিঃশ্বাস ক্লিওপেট্রোরও বুকে
গোক্ষুরেরও নীলাদ্রি জহরে !