ভালোবাসার শৈশব
আব্দুল কাদের
শৈশব কৈশোর
ভালোবাসায়
মুখর এই হৃদয়
সদয় সদাশয় ।
আজ তোমাদের
প্রাণের আহ্বানে
মুগ্ধ এই হৃদয়
সদয় সদাশয় ।
লেখনীর মাঝে
জানাতে পেরেছি
মহৎ সব বার্তা ।
তোমাদের সব লেখা
অজানা কীর্তি গাঁথা ।
এক সুন্দর দিনশেষে
ঘুমের ঘরে ঘুরে ঘুরে
বালিশে মুখ,চোখ রেখে
বলতে শুনেছ ধ্বনি ।
মাথায় হাতটা বুলে !
নিজের খাঁচায় রাখি
অন্যের কথা মাখি
লক্ষ কোটি পাখির
গান শোনার কথা ।
শুধু তোমাদের কথা
ঐ স্মৃতি, যাতনা বলি ।
তুমি ,তোমাদের নীড়ে
থৈ থৈ কোলাহল ঘিরে
পেতাম শৈশব ফিরে ।
ছিল নদীর স্রোতজল
চারপাশে জলের ছল
সে সব স্মৃতি কি ভুলি ?
আঁকতাম, ছুটতাম !
মন জুড়ানো খেলায়
স্মরণ কিছু রাখতাম ।
সব স্মৃতির পাতায় ।
কত হাসির মায়ায় !
নেশার মোহনায়
সাঁতার কাটতাম
স্কুলে যাবার কথা
সবকিছু যেন
ভুলেই যেতাম।
দুই বাহু বাঁকা
সম্মুখ অগ্রসর
হত জল আঁকা ।
হাতের জলছাপে
বাঙালির স্রোতে
হরি হরি খেলায়
দেহ মন ভাসাতাম ।
শরীর ভাষা মেপে
জীবন তরীর চাপে
ঐ আকাশ পথে
জীবন্ত খোলা চিঠি
না হয় লেখতাম ।
ধু ধু বালি মাখা চরে
ঐ নদীর পার ঘাটে
বালুর পুলের পাশে
ফুটবলে লাথি মেরে
সারা বিকাল খেলতাম ।
সেই সব স্মৃতি আজি
বলি সবই, মন জুড়ি
দুমুঠো দুপুর বেলার
দূতি আলো নেশায় ।
রাত আঁধার আসার
হিসাব রেখেছি খাতায় ।
বইয়ের মোড়কে
ঝলসে আলোকে
সব কাব্য গাঁথায় ।
বই বেসেছি ভালো
পেয়েছি আশার আলো
প্রেরণার দুয়ার খোলায় ।
এখন ছোট ছেলে মেয়ের মাঝে নেই
আগেকার দিনের মতো আগ্রহ সেই ।
সন্ধ্যা হলে দৌঁড়ে বাড়ি ফিরে
মুয়াজ্জিনের আজানের পরে
হ্যারিকেন, ন্যাম্পু জ্বলে
বই হাতে পড়ার ঘরে
পড়তে না ভুলতাম ।
সে দিনগুলো নেই আর
পাবে না কখনো ফিরে আর
বইয়ের জন্যে লড়া নয় -
এখন পাড়ার ছেলে মেয়ে
মজে লাড্ডু তামশা ভেলায় ।
মোবাইলে টাইম করে পাস
ফোন কলে রেকর্ড ফাঁস ,
ফেবু, ইউটিউব টুইটারে
দেখায় ভিডিও , সব ঝ্যাঁকাস ।
বইয়ের জন্যে লড়া নয়
মজে তামশা ভেলায় ।
ধূলোপড়া মেঠোপথে
রাজহাঁসের বাচ্চারা
দৌরাত্ম্যে সাবাড় ।
সেই সব যাতনা
কখনো ভুলবনা
আসুক যত সব
ভালো লাগা সময় ।
কত স্বপ্নের কথা
হয়েছে বলা যা
হবে কি অযথা !
কিসের কাছে আছে
দূর সব স্বপ্ন মিশে !