আজ আমি
তোমাদের এক দেশের যুদ্ধের কথা বলি
শুনবে কি ?
আমি এক দিনের ভোরের ধ্বনির কথা তুলি
শুনবে কি ?
বিকট, চিৎকার  সে শব্দমাত্রা, নিষ্ঠুর গুলি
শুনেছ  কি ?
ভাষা জ্ঞান হারিয়ে বাকরুদ্ধ হবি
যদি আঁকি তাঁদের সম্ভ্রমহানির ছবি ।
হায়েনার দল প্রতি রাতে শিয়ালের মতো
নেমে এসেছিল বন্ধুক মেশিন গানে
এই বাংলার মাটিতে কেড়ে নিছে কত প্রাণে ।

পূর্ব বঙ্গ ,পূর্ব পাকিস্তান যে নামে ডাকি
বাংলাদেশ ছিল বৃহৎ পাকিস্তানের অংশ
অর্থনৈতিক বৈষম্যের ছবি মোরা আঁকি
দুর্দশায় এই জাতির ভাগ্য দীর্ঘদিন জানি
অমানিশার মাঝে কেটেছে সময় সবই মানি ।
শপথ করি দাঁড়িয়ে লাশের উপর  
পাক বাহিনীর উপর গেরিলা আক্রমণ করি ।
নাস্তানাবুদ  করে বিজয়  নিশান ঘরে আনি  । অসাম্প্রদায়িক চেতনার নতুন বাংলাদেশ গড়ি ।

অসম সে যুদ্ধ ,দীর্ঘ নয় মাস,গেরিলা বাহিনীর  আবির্ভাবে বাংলাদেশ তৈরি করে সুরক্ষা বলয়
লক্ষ কোটি মায়ের চোখের জল,কান্নার বুলি
রক্তের ছোপ ছোপ দাগে এলো স্বাধীনতার ঝুলি ।  
মোরা বীর বাঙালি জাতি কি তা সহজে ভুলি ?

স্বাধীনতা কামী মানুষের আনাগোনায়
মুখরিত সেদিন ঢাকার রাজপথ অলিগলি
চাদর বালিশ ছেড়ে  দিকবিদিকশুন্য মানুষ,
বুড়া বুড়িরা সম্বল কম্বল ছেড়ে পলায়নপর.,
মা বোন হারানো বেদনা শক্তিতে পরিণত করি
সাহসী বীর যুবা সমাজ, কৃষক ,জেলে তাঁতি।
জেগে উঠে জনবন্ধু শেখ মুজিবুরের ডাকে  
জনসভার ময়দানে উঠে শত্রু নাশের ধ্বনি ।
প্রশংসিত সর্ব মহলে সেই স্বাধীনতার ধ্বনি ।
"এবারের সংগ্রাম আমাদের  মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম "
প্রকৃত ইতিহাস বার বার হয়েছে বিকৃতি  
স্বাধীনতার পত্র পাঠে নামের পুনরাবৃত্তি
স্বাধীনতার ঘোষণায় কে রেখেছে মূল কৃতি ?
এখনো অনেকের জানার আছে বিভান্তি ।
চট্রগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আসে
মোদের বহুল প্রত্যাশিত, কাঙ্ক্ষিত ,প্রকৃত
আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার ধ্বনি  ।