কবিতা : প্রথমে যা দেখেছি
কি প্রশ্ন,ব্যাকুল মন, যে লেখতেই হবে
প্রতীক্ষার প্রশ্নে লেখতে বসেছি কিছু স্মরণে ।
আমি দেখেছি যা চোঁখে প্রথম কালের সিগ্ধে
কিছুটা ভয় নিরিবিলি কথা মানুষের মুখে মুখে ।
ঘেসেড়া সেজে গিয়েছি ঘাটে দুপুর বেলায়
পাড়ার এক মেয়ে আসত নিত্য জলকেলি ।
চৈত্র মাসের খড়া দিনে স্নানে হাঁটু ভিজে
শুধু তনু ভিজত চিৎ হয়ে শুয়ে শুয়ে ।
দেখে যেন মনে হয় কোন রুপসী জলপরী
তাঁর চোখ জোড়া হরিদাস পালকে তোলা ছবি ।
ঠিক কারুকার্য বুলগুকসা হরিণীর মতো
দেহ গড়ন বেশ সরু, মুখ উজ্জ্বল শ্যামা
সেই ছিল আমার ভালোবাসা, প্রেমাভাস
সে কি প্রেম! জানি না মনে যেন ভাসে ?
সেই প্রিয়ার মুখ নেই সেই ঘাটে
অবাক তাঁকিয়ে আছে গবাক নদী পার
একদিন তাঁর বাড়ি হয়ে হাঁটতেছি হাটে
সে আমাকে ডেকে বলে কিছু কথা আছে
আমার মনে দুরু দুরু করে এ কি মেয়ে
কী লজ্জা! লোকে যদি দ্যাখে কী বলে ?
ঠুঠে আঙুল রেখে বলে চুপ ! বোকা ছেলে
কিচ্ছু বুঝিস না , তুই থাক মোর প্রেম লগে ।
এতদিন পরে মনে শান্তি পাই কিছু ক্ষণে
রাত আসে সেদিন, ঘুম আসেনি চোঁখে
ভাবি বুক ফোটে , মুখ খুলে না তবুও ।
আজ কেন মুখ ফুটিয়ে কথা বলছে মুখেই
সত্যিই বলছি কতই আমাকে ভালোবাসিত সে !
এভাবে দিন যত গত জমতেছ ভালোবাসা
আমাকে ছেড়ে মন যে তার বসত না কিছুতে
এত ব্যাথা যার আমার কারণে ভুলি কি করে
বঁধু বেসে আজ গিয়েছে চলে পরের বাড়িতে ।
বউ সাজে হাওমাউ কেঁদেছে মুখে ওড়না বেঁধে
বাবা তার শুনে নি কথা জড়ায়ে দিয়েছে বিয়ে ।
যাবার কালে চিঠি পাঠিয়ে বলেছে আমাকে
দেখতে যাই ও বন্ধু ঐ কড়িতলার গায়ে ।
দুই চোঁখে তার অশ্রু ঝরছিল অবিরাম
স্রোতে তার ভেসে দিয়েছিল কপাল খানি লুঠে ।
আমি সেদিন মনে প্রতিজ্ঞা লইছি বার বার
লক্ষ্মী সোনা সত্যি যদি ভালোবাস,দেখা হবে একদিন ।
আমার ইন্টারমেডিয়েট ছাত্রাবস্থায় লেখা