মন ভুলানো মুচকি হাসির ভেতর লুকে আছে
তোমার ঢেউ খেলানো মেকি মানুষরূপী সভ্য -
ভদ্র চেহারা,
সভ্যতার পিঠে পেরেক ঠুকে আগুন লাগিয়ে অসভ্যতার বেহায়াপনায় হও
মাতোয়ারা ।
হে নব্য ফ্যাসীবাদী প্রেতাত্মা, তুমি বঙ্গোপসাগরের গভীরতা জানো কী ?
তুমি পেতে চাও পানি গ্রহণ, পেতে চাও মুক্তি, স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে হয়ে পড়েছ দিশাহারা ।

কোথায় হবে তোমার ঠিক -ঠিকানা
আধুনিক অমর অস্ত্র সজ্জিত বস্তুবাদী চেতনার  বস্তুত্বধারী মানুষেরা ঘুমায়নি,
হিটলারের ইহুদীবিদ্বেষ সমরনীতি মানুষের মনে জন্মা নেয়নি-
ভালোবাসা, ভাতৃত্ববন্ধন,সম্প্রতির পাহারা ।
শরীরে লেগেছে ব্যথা, মনে লেগেছে দাগ, রক্তাক্ত জখমরের ক্ষতচিহ্ন, দহন এখনো মুছে য়ায়নি ।

ক্ষমতার দখল, আধিপত্য বিস্তার হিটলারও করেছিল-
কাপুরুষোচিত আত্মহননের মৃত্যুকে বরণ করেছিল ।
হে সভ্যতার ধারক, বাহকেরা -
আজ তোমরা কেমন আছ ?
তোমরা কি ঘুমিয়ে পড়েছ ?

তুমি তোমার  যাদুময়ী মুখের কথা শুনিয়েছ,
ভুলিয়েছ কত লক্ষ কোটি মানুষের মন ,
সাইনবোর্ড টেনেছ উন্নয়নের,ধরেছ জনগণের গলা টিপে জনে জন ।
আজ তোমার অসহ্য দাম্ভিকতা, অহংকার কোথায় গেল চলে ?
দীর্ঘ দিন করেছে শাসন  ক্ষমতা দখলে রেখে একচেটিয়া ।
পায়ের লাথির চোট পেয়ে শয্যাশায়ী বিছানায় পড়েছিল -
এই সভ্যতার লক্ষ কোটি
শুভবুদ্ধির মানুষেরা ।

গুম হুনের নব্য ধারায় অতিষ্ঠত হয়েছিল সব শ্রেণির মানুষেরা ,
তোমার অধীনস্থ সরকারি অফিসার অনায্য আদেশ অমান্য করলেই,
হত গুম খুন আর ধর্ষণের শিকার লালসার ।
হিটলার, মুসোলিনির   রাজ্য দখলের  ইতিহাস আর নমরুদ, ফেরাউন, কারুইনের কথা কে না জানে !

ওরা পৃথিবীর বুকে কত না ক্ষমতাধর ছিল -
কেউ মরেছে  মশার প্রকোপে
কেউ মরেছে নীলনদের জলে,
মরেছে ভূগর্ভে বিলীন হয়ে ।
স্বৈরাচারী বিকৃত মন পায়ের পদতলে -
পেয়েছে জুতা পেটানোর জন্য ক্ষণিক বাঁচা জীবনের  স্বাদ ।
মাটির সঙ্গে মিশে গেছে  কারুইনের  সোনালী হীরাময় প্রাসাদ ।
বাতাসের মতো উড়ে  গেছে ওদের সব দর্প অহমিকাময়  জীবনপাত  !  

অট্টালিকা,স্বর্ণ, জহরত, কাঞ্চনই বা কি কাজে লেগেছিল -
কুচক্রী শয়তানী স্বার্থপর -দৃষ্টি  হারিয়ে যাবে এভাবে  মনুষ্যত্বের ছায়ায় ভিতর
অভিশপ্ত প্রেতাত্মারা  ঝরে পড়বে সভ্যতার অতল   অন্ধকার গহ্বরের ভিতর ।

এরা চিরকাল থাকবে—অন্ধকার, অবিচারের, নিপীড়নের এক প্রতীকী নামে পৃথিবী জুড়ে ।
ওদের আধিপত্যের চিহ্ন চিরকাল থেকে যাবে মোদের  ঘৃণার চোখে  ।