জীবন রে তুই এক অদ্ভুত মায়ার-বাঁধন ,
চাদরে মোড়ানো এক টুকরো মনের যতন ।
সিংহের মতো তেজীয়ান, বেগবান-ধাবমান ,
কখনো তুষারজলের মতো মৃদুমন্দ-প্রশমণ ।

বাতাসের মতো উড়িয়ে নিয়ে চলো শতকী ইচ্ছা ,
বৃষ্টি-ভেজা মাটির মতো করো দুচোখের তৃষ্ণা ।
রঙিন পঙ্খিময় স্বপ্ন, দূরন্ত ভালোবাসার মায়া ,
নদীর স্রোতের ন্যায় ক্লান্ত করে দেহ, মন, কায়া ।

অস্তিত্বের লড়াইয়ে বাঁচিয়ে রাখ প্রেম-ছায়া ,
প্রশ্ন তুলতে না পারে কোনো কাজে জায়া ।
জন্ম-মৃত্যুর ব্যবধান নীরব সাক্ষী করে ,
একাকিত্বের দিন শেষে সময় অতিথি করে ।

অচেনা হাসির উষ্ণতায় বন্ধুত্বের স্পর্শে হয়—
পুরাতন বন্ধনের স্মৃতি সব অনুরণন তোলে ।
ছায়ার মতো এক অদৃশ্য শক্তি অনুভব করে,
জীবন থাকা আর না থাকার মর্ম-কথা বলে ।
সূক্ষ্ম ব্যবধান মনে রাখে, যেন হারিয়ে ফেলে ।