হে বীর, মহাবীর,
নুরুলদীনের আলোরপথ দিশারী ,অগ্রপথিক । তোমাকে ভুলি কি করে, বিজয়ী মশাল জ্বালিয়ে আজ তুমি অমর মহাকাব্য লিখে গেলে । তোমার বুক পাতা, দুই হাত প্রসারিত করার অদম্য সাহসী উচ্ছাস,শাসকের বুলেট স্তব্ধ করে । মৃত্যুর আজাজিলের সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে । প্রতিবাদের অগ্নি দ্রোহী আত্মারা তখন রাজপথে বুক পাতে, লক্ষ কোটি আবু সাইদ হয়ে ।

হে নায়ক, মহাকাব্যের মহানায়ক ।
তোমার পতাকা বখতিয়ার খলজির উত্তরসূরী । ভীরু, কাপুরুষের দলই পলায়ন  করে ।
লক্ষ্মণ সেনের মতো পিছনের দরজায় ।
বাংলার  আকাশে নতুন সূর্য উঠার আগেই
তোমার রক্তমাখা টি-শার্টে  তরুণ প্রজন্মের বাংলাদেশ গড়ার শপথ করে আসিফ, নাহিদেরা ।

হে আগামী প্রজন্মের ছাত্র সমাজ, মুগ্ধের সহযাত্রীরা.,ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ার শপথ চাও এখনই - যেখানে কাঁধে কাঁধ রেখে, বুকে বুক রেখে ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ার  দীপ্ত শপথে নির্ভীগ্নে, তোমরাই  হবে এই ইতিহাসের সাক্ষী ।

টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া গড়ো বিজয়ের ঝান্ডি । বাংলাদেশ সমৃদ্ধে হোক চির উন্নত মম শির । মুখায়ব উজ্জ্বল করে বিশ্ব কাতারে মর্যাদার আসীনে অধিষ্ঠিত করুক ইউনুসের সরকার।
সৈয়দী কন্ঠে " জাগো বাহে  কুন্ঠে সবাই । "
তিতুমীরী ঢংয়ে  কৃষক, শ্রমিক, জেলে,তাঁতীরা জাগুক।

অধিকার আদায়ে নায্যতার ভিত্তিতে গড়ে উঠুক নতুন সমাজ,নতুন রাষ্ট্র কাঠামোর ইতিহাস ।কার্যকরী সংস্কারে গড়ে উঠুক ভঙ্গুর প্রশাসনের মেরুদণ্ড । আর সংখ্যালঘুদের  নিরাপত্তা  জোরদার হোক সর্বাগ্রে । বাঁচি মন খোলে বাহে, হিংসা বিদ্বেষ ভুলি । হামার বাংলাদেশ, হামাদের কব্জায় রাখি ।
  
জোড়গাছা : ১৪.০৯.২০২৪)