চাঁদরে মোড়ানো ভালোবাসার হাস পাখি
আমার ।
তাঁর পাখনা নেই,পানিতেও ভাসে না
নোঙর তোলে মনের দুয়ারে
বারবার  ।
কাঁদতে কেউ দেখেছেন, সেই হাস পাখি কে ?  
সেই হাস পাখি খবর নেই ।
সেই হাস পাখি
বাড়ির উঠানে হতো ক্যামারাবন্দি ।
দুপুরে বেলায় আবিষ্কারের নেশায়
ঝর্ণায় ব্যারিকেড ভাঙ্গত ।
বিরহ মাখা নিদারুণ করুণ সুরে ডাকত ।
ভোর রাত, মাঝ রাত, আঁধারে নেমে আসত ।
সেই হাস পাখি
দেখতে ইচ্ছে করছে গো রাতে বাসরে  -
মনের চোখ দেখে, যতদূর দু চোখ মেলে ।
রজনী গন্ধা
আর মখমলের খোঁজে  চুরি করার গন্ধে  
সোনালী বরণ শাড়ি পড়া বিমূর্ত ছবিতে  ।
মনের মতো করে সেই হাস পাখি আমার  !
পত্রিকা পাতায়
সোনালী অক্ষরে দাঁড়িয়ে থাকতে
হাস্যেজ্জ্বল মুখে, চোখে শত স্বপ্ন ভুলে  ।
কিন্তু খবরের
সেই হাস পাখি খবর হয়ে আসে না ।
চাঁদনী, জোৎস্নাস্নাত রাতে সে হয়তো খোজে পাবে তার দু' চোখে ।
সেই দিন আসে না, মনের এই হাস পাখি কে ধরে রাখা যায় না ।
সময়ে বড় অসহায়, ক্লান্ত হাস পাখি  । ।

স্থান: জোড় গাছা ৩১.০৮.২০২২)