মাগো আজ তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে আমায় একা রেখে গেছ চলে বহদিন আগে
ঐ দূর স্বপ্নের রাতে চিৎকার করতে করতে ! অতর্কিত সেই আঘাত সহ্য করতে পারনি মা! তোমার আদরের দুলাল মিনমিন করে
মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল,
আর তুমি বজ্র কন্ঠে প্রতিবাদী আওয়াজ
তুলেছিল ধর, ধর, ধর !
কত শিশুর কান্নার শব্দে প্রাণের আওয়াজ
তুলেছিল
অদম্য যুবক যুবতী কাপড় খোলে নগ্ন নৃত্যে,
ঐ সব নর পশু খাদকের দল এক সাথে ।
গেল সব বুদ্ধিজীবী, গুণী , ডাক্তার,কবি ।
মৃত্যুপুরীর শহরে এই ঢাকা,কিছু রইল না বাকি ! কাগজে ,রেডিও তে , ওয়ারলেসে খবর আসতে থাকে, গোলা বারুদ গুলির আওয়াজ ছিল সবখানে ।
আসবে কি ফিরে মা, আমার এই মাটিতে ?
আজ তোমায় খুব মনে পড়ছে ,দেখতে ইচ্ছে করছে তোমার আদরের একমাত্র মেয়ে ছোট ছেলেও
চলে গেছে পৃথিবী ছেড়ে
জীবন বাজি রেখে প্রাণপণ যুদ্ধ করে ।
মুক্তি যোদ্ধার খেতাব আজ ও মেলেনি ওঁদের ভাগ্যে । প্লাকাট, পতাকা হাতে, আলোক মশাল জ্বেলে
পাক আর্মির নির্যাতনের বহ্নিশিখা রুখে
মোর ঘরে কোদাল শুল্লি প্রস্তুত রেখেছি,
আমি যাব, যাব মুক্তি পেতে
অধিকার আদায়ে একবিন্দু পিছু হটব না -
যদি লেগে যায় যুদ্ধ বাংলাদেশ- মিয়ানমারে ।
মা তোমার মুক্তি পাগল ছেলে লড়াই করতে জানে আসুক না দখল নিতে পাহাড়ি জান্তার বাচ্চারা !
সিমান্তে বিজিবি, আর্মি হও হুশিয়ার সাবধান !
জোরদার কর মেশিনগ্যান গোলা বারুদ,
বন্দুকের টহলে জেগে থাকুক বাঙালি সবে
তীক্ষ্ণ প্রহরে জেগে থাকুক পার্বত্যবাসী আগ্রাসন,হয়রানি উস্কানি হোক বন্ধ ,
আর কুটনৈতিক তৎপরতা চলুক
জাতিসংঘে, ইউনেস্কে, বিশ্ব দরবারে ।
দেশের স্বার্থ, সম্মান ম্লান করতে দেবে না
মোদের সে সব বীর দেশপ্রেমিক জওয়ান -
যাঁরা বন্দুক হাতে কাঁটাতারের সীমানায় দাঁড়িয়ে
রেখেছে নিরাপত্তায় দেশের সীমান্তবর্তী যত স্থান । গৌরবান্বিত সেনাবাহিনীর মতো ভুলব না
তোমাদের মোরা, হে বীর জাতির,শ্রেষ্ঠ সন্তান ।