ভালোবাসার মোহে,কবিতার মোহে  উৎসর্গ করছি
যত সব বন্ধন হে প্রিয়তমা ,
সোনাবরণ লাল টুকটুকে হলদে পাখি আমার ।
কোন ঋতুক্ষণে ঝরবে না তোমার রক্ত মনেরও লাগিয়া
প্রাণের স্পন্দন, মায়াবী হাসিমুখের বন্ধন, প্রেম রুধির ।

ভোরের শিশিরে ভেজা শস্য ফুলের গন্ধে লুকে এই মন মাখিয়া  ।  
কোনো ঋতুক্ষণে ঝরবে না এই প্রাণের সুধা
প্রিয় নাম জপে গাও সবে মনের খরাগ ভরিয়া ।
জীবনের যত স্মৃতিগাঁথা রঙিন সব রইবে দাঁড়িয়া ।

হে প্রিয়তমা, তোমার নখের আঁচড়,হাতের দাগের ছোঁয়া
মুখের কল্লোলিত ধ্বনি,পায়ের যৌবন উত্তাপ ধোঁয়া  
হঠাৎ চুরির শব্দের মতো ঝুনঝুন শব্দ দেখবে না বুয়া  

রঙিন আচ্ছাদন বলি, যত সুখ স্মৃতি ধরি
চাদরে জরানো ভালোবাসায় রইবে চাহিয়া ।

বাতাবি লেবুর রসে মৌ মৌ গন্ধে যবে মাখিয়া  
তোমার আঁচল খোলা মন যাদু লাগা এক মায়া
চুলের সুগন্ধ বাতাস,স্থির,শান্ত আর কমল চাহনি
রাতের আধারে আসে কপালের টিপ পড়ে ।
চোখে কাজল,পায়ে আলতা কি অদ্ভুত কারু শিল্পে !  
রাখে কবুতর পাখির মতো প্রশান্তিময়ী মনকল্পে
ইতিহাসের সব পাতায়, মনের একগুচ্ছ খাতায়,  
গোলাপের অভ্রতায় যুগে যুগে স্মরণীয়
যেমন মমতাজের সেই সুউচ্চ দারাজ কন্ঠ
তেমন হৃদ মাঝে খুঁজি তোমারি প্রেমের যষ্টি ।
সম্রাট সাজাহানের প্রেমের অমর মহাকাব্য সৃষ্টি
পৃথিবীর বুকে এঁকে দিল এক অনিবার্য দৃষ্টি ।
তুমি কি ভাবো দিলে আগ্রার সব স্মৃতি গাঁথা
পৃথিবীর সব প্রেমিক হৃদয়ে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হোক ?