বায়ান্ন চব্বিশ ফিরে এসে চলে যায়
মুখ লুকিয়ে একা কাঁদে শাপলায়
মুক্তিযোদ্ধার গলাচেপে ছিড়ছে
তেপ্পান্ন বছরের মানচিত্র।
তোমায় আমায় নেই কোন ভেধাভেদ
তুমিও দেখো, আমিও দেখি
লাল রক্তমাখা সবুজের বুকে ঐ
লাল সবুজের পতাকা
ওরা নেতা নেতৃত্ব দেয়
ওরাই ওদের রাগমাখা পশুত্ব চোখে রাজপথে,
খাবার টেবিলে সেই ওরাই ভিন্ন কোন জাতী
ভিন্ন কোন দেশ,
উপরে যাই দেখ
গোপনে তারই বেশ।
যারা তরুনীর বুকে কৃষানীর চোখে
নতুন গানের সুর তুলে
সুর কেড়ে কন্ঠ ভাংগে
ছিন্ন ভিন্ন দেহখানা নিয়ে
ভাংগা সেই টানপোড়ায়
চিৎকার করে প্রশ্ন তোলে
স্বাধীন বাংলাদেশে আমার স্বাধীনতা কই।
আহারে হাহাকারে হেলানী ফ্যানে ঝোলে
আবিরের ঘ্যানঘ্যানে প্যানপ্যানে বাজে কানে
ত্রিশ পেরিয়ে গেলো চাকরীটা কই?
কুলীর কাঁধে বোঝা ফাঁকা ফাঁকা পকেটে
সাহেবের টাকা নাই টাকা সোনা কই
নামে বেনামে ব্যাংকের কোনে কোনে
কে কার কথা শোনে?
চুপ থাকো তুমি আমিও চুপ
কে লিখবে তোমার কথা?
সস্তা সাংবাদিক টাকা খোজে
জীবনীও খোঁজে...!!
কবিরাতো মরেছে সেই পনের বছর আগে
আর বিপ্লব!
হাহাহাহা....
সেতো ক্ষমতার ঘোরে
থাক ভাই থাক আর চাইনা বাক
সরলে গরলে যতোটুকু বাঁচি
বন্ধি আমি স্বাধীনতা
আমাকে ঘুমাতে দাও সাগর স্রোতে
যদি পাই কোন এক বোধির স্বদীপ
বদ্বিপ থেকে অনেক দুরে।
বাংলা মা তোকে ভালোবেসেই বলছি
আমার আর তোকে চাই না ওকে চাই।।।